বীরগতি প্রাপ্ত হওয়া কয়েকশো ফেয়ারনেস ক্রিমের ঢিপিতে ঘর বেঁধেছে আরশোলা আর টিকটিকিরা। এদিকে মাইনের টাকা জলের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে নামি-দামী বাউটি পার্লারের খরচ মেটাতে। কিন্তু ত্বকের অবস্থা যে কে সেই। এ অবস্থায় ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কি কোনও ভাবেই সম্ভব নয়? এমন প্রশ্ন যদি আপনার মনেও জেগে থাকে তাহলে একবার এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট! কারণ এই লেখায় এমন একটিু ঘরোয়া ফেয়ারনেস ক্রিমের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল যা নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য তো বৃদ্ধি পাবেই, সেই সঙ্গে স্কিন প্রাণবন্ত এবং সুন্দর হয়ে উঠবে।
এই “হোম মেড” ফেয়ারনেস ক্রিমটি বানাতে একেবারেই কষ্ট করতে হবে না। আর এক্ষেত্রে যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে সেগুলি একেবারে হাতের কাছেই পেয়ে যাবেন। তাহলে আর অপেক্ষা কেন! ফেয়ারনেস ক্রিমটি বানিয়ে ফেলুন আর লাগাতে শুরু করে দিন। দেখবেন এক রাত্রিরেই ত্বকের সৌন্দর্য চোখে পরার মতো বেড়ে যাবে।
যে যে উপকরণগুলির প্রয়োজন পরবে: ১. লেবুর রস- ১ চামচ
২. গোলাপ জল- ৩ চামচ
৩. চন্দন গুঁড়ো- ১ চামচ
৪. বাদাম অয়েল- ১ চামচ
৫. অ্যালো ভেরা জুস- ২ চামচ
ক্রিমটি বানানোর পদ্ধতি:
লেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটিতে ১ চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে নারিয়ে নিন। এবার পেস্টটা একবার ছেঁকে নিন। তাহলে একেবারে ঘন একটা মিশ্রন পেয়ে যাবেন। এই মিশ্রনের সঙ্গে বাদাম তেল মিশিয়ে পুনরায় ভাল করে নারাতে থাকুন। যাতে সবকটি উপকরণ আরেকবার ভাল করে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়। প্রসঙ্গত, হাতের কাছে যদি বাদাম তেল না পান তাহলে সম পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। তেলটা মেশানোর কিছু সময় পরে অ্যালো ভেরা জেলটা মেশান। এই শেষ উপকরণটি মেশানোর পরই আপনার হোম মেড ফেয়ারনেস ক্রিমটি তৈরি হয়ে যাবে ব্যবহারের জন্য।
ক্রিমটি মুখে লাগানোর পদ্ধতি: ক্লিন্সার দিয়ে মুখটা ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর অল্প পরিমাণ ক্রিম মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন, যাতে ক্রিমটি ত্বকের একেবারে অন্দর পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, দিনে দুবার এইভাবে ক্রিমটি লাগালে দারুন উপকার পাবেন। এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে বাড়বে সৌন্দর্যও।
আরও পড়ুনঃ
ফর্সা ত্বক পাওয়ার উপায়-মাত্র দুদিনেই ফর্সা ত্বক পেতে মেনে চলুন এই সহজ পদ্ধতিগুলি!