একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬০-৭০ শতাংশ মহিলা জানেনই না কীভাবে নিজের শরীরের সবচেয়ে মূল্যবান অংশটির যতও দেখভাল করতে হয়। এমনকী খুব সাধারণ কিছু জিনিস আছে, যার জেরে মহিলাদের যৌনাঙ্গ আহত হতে পারে। তা না জেনেই বহু মহিলা তার ব্যবহার করে চলেছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ, রোগ দানা বাঁধে মহিলাদের শরীরে।
কী সেই অভ্যাস যার ফলে মহিলারা নিজেদের অজান্তেই শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর…
অংশটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন? বিস্তারিত জেনে নিন-
অলঙ্করণ : অনেকে নাক ও কানের মতো যৌনাঙ্গেও…ছিদ্র করিয়ে গহনা পরেন। আর এই ধরণের ধাতুর জেরে আপনার যৌনাঙ্গে প্রাণঘাতী সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যৌন মিলনের ক্ষেত্রে এই ধরণের গয়না প্রচণ্ড অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে
হেয়ার রিমুভাল ক্রিম : মহিলারা যৌনাঙ্গে হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধরণের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম যৌনাঙ্গে ও তার আশে পাশের জায়গায় অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। সংবেদনশীল চামড়া ফুলেও যেতে পারে।
বারবার ধোয়া : অনেকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে বারবার পানির ছিটে দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুতে থাকেন। যা কখনওই উচিত নয়। এতে যৌনাঙ্গের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত পদার্থ ধুয়ে গিয়ে জায়গাটিকে শুষ্ক ও রুক্ষ করে দেয়, ফলে ওই জায়গায় চুলকুনি বা ঘা হতে পারে।
অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহার : পানির মতো সাবানও যৌনাঙ্গকে শুষ্ক করে দেয়। এর ফলে ঘায়ের মতো সমস্যা তো হয়ই পাশাপাশি কেমিক্যাল থাকায় অ্যালার্জি বা সংক্রমণের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ট্যাটু : আজকালকার ফ্যাশনে বিকিনি লাইনে ট্যাটু করাটা খুব জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু এর ফলে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ ট্যাটু মেশিনের ছুঁচে একাধিক ব্যাকটেরিয়া থাকে। এর ফলে শুধু লালচে হওয়া বা যন্ত্রণা হওয়াই নয় সারাক্ষণ জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়।
ফল সবজির ব্যবহার : অনেকে যৌন আনন্দ উপভোগ করার জন্য যৌনাঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফলের প্রয়োগ করেন। কিন্তু ফল বা সবজির খোসায় একাধিক জীবানু থাকে যা যৌনাঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
চামড়া আঁকড়ে থাকা প্যান্ট : খুব টাইট জিন্স পরলে যৌনাঙ্গ আহত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অক্সিজেনের অভাব ও মোটা কাপড় হওয়ায় ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় যৌনাঙ্গে। ফল সংক্রমণ।
অতিরিক্ত সাইকেল চালানো : সাইকেল বা বাইক চালানোর সময় শক্ত সিটের জায়গায় বহুক্ষণ ধরে যৌনাঙ্গ আবদ্ধ হয়ে থাকে, এর থেকে ঘা, সংক্রমণ হতে পারে।
বাথটপে : বাথটপে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে স্থির জলে যৌনাঙ্গ ভিজে থাকে এতে যৌনাঙ্গে ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে। ফলে সংক্রমণ হয়।
আসলে পার্লারের গিয়ে রেগুলার ওয়াক্সিং করা বেশ খরচ সাপেক্ষ বিষয়। আবার পার্লারে যাওয়ার জন্য সময়ও পাওয়া যায় না ব্যস্ততার জীবনে। তাই ঘরে বসে শরীরের অবাঞ্ছিত রোম তুলে ফেলতে অধিকাংশ মহিলার পছন্দ হেয়ার রিমুভাল ক্রিম। কম খরচে এবং বাড়িতে বসেই যখন খুশি শরীরের রোম তোলা যায়। বাজারে এখন হেয়ার রিমুভাল ক্রিমের একাধিক অপশন। কিন্তু কোন ক্রিম আপনার জন্য সঠিক, তা জানেন কি? তাই হেয়ার রিমুভাল ক্রিম কেনার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন –