প্রতিদিনের খাবার নিয়ে কত চিন্তা আমাদের। খাওয়া শেষে উচ্ছিষ্ট থাকলে সমস্যা, তা ফ্রিজে রাখতে হবে নইলে নষ্ট হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি ফ্রিজে রাখতে হবে আরো কত ফল, সবজি, মাংস, ডিম- ইত্যাদি। অনেক খাবার খুব সহজে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কিছু খাবার কিন্তু একেবারেই নষ্ট হয় না। কী, অবাক হচ্ছেন? আসলে কিছু খাবার মোটামুটি ‘অবিনশ্বর’ বলা যায়, তবে অবশ্যই সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে। চলুন, দেখে নিই এমনই কিছু খাবারের কথা-
শুকনো বাদাম
শুকনো বাদাম বা শিমের বিচিও অক্সিজেনমুক্ত স্থানে রাখতে পারলে তা ৩০ বছরও ঠিক থাকতে পারে৷
মধু
মধুর অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আর তা চুল ও ত্বকের জন্যও খুব উপকারি। তার প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে বলে প্রাচীনকালে তা ক্ষত সারাতে ব্যবহার করা হত। সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো, মধু কখনোই নষ্ট হয় না বা পচে যায় না। এমনকি, অনেক সময়ে মিশরীয় সমাধিগুলো থেকে হাজার হাজার বছরের পুরনো মধুর পাত্র খুঁজে পান প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এতে থাকা চিনি, কম আর্দ্রতা, উচ্চমাত্রার অম্ল, গ্লুকোনিক এসিড এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড একে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ভিনেগার
ওজন কমানো থেকে শুরু করে ঘরের টুকিটাকি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হয় ভিনেগার। শুধু সাদা ভিনেগার নয় বরং অ্যাপল সাইডার ভিনেগার, বালসামিক ভিনেগার এ সবই অনেক সময় ভালো থাকে। আর এদেরকে ফ্রিজেও রাখার দরকার হয় না।
কর্ন স্টার্চ
বিভিন্ন খাবার তৈরিতে কর্ন স্টার্চ কাজে আসে। একে যদি আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখা যায় তাহলে সে অনেকটা সময় ভালো থাকে। শুকনো, ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে অনেকদিন পর্যন্ত আপনি সংরক্ষণ করতে পারেন কর্ন স্টার্চ।
লবণ
বিশুদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইড এমন একটি রাসায়নিক যা সহজে নষ্ট হয় না। অনেক খাবারকেই সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করা হয়। তবে লবণকেও রাখতে হবে শুকনো। তাহলেই একে নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না আপনার।
শুকনো ডাল
খুব ভালোভাবে শুকিয়ে এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখা হলে অনেক লম্বা সময় ভালো থাকে বিভিন্ন ধরণের ডাল। তবে এই ডাল রান্না করতে সময় বেশি লাগতে পারে।
চিনি
লবণের মত চিনিকেও যদি আর্দ্রতা এবং তাপ থেকে দূরে রাখা যায়, তা ভালো থাকে অনেকটা সময়। গ্র্যানুলেটেড সুগার, সুগার কিউব, ব্রাউন সুগার এবং বিভিন্ন আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও নষ্ট হয় না কখনোই।
সাদা চাল
ক্সিজেনমুক্ত কোনো জায়গায় চার ডিগ্রি বা তার চেয়ে কম তাপমাত্রায় সাদা চাল রেখে দিলে, ৩০ বছরেও নাকি সেই চালের স্বাদ, গন্ধ বা খাদ্যগুণের কোনো হেরফের হয় না৷ তবে বাদামি চাল এতদিন টেকে না৷ এ ধরনের চালে তেল থাকে বলে এগুলো বড়জোর ছয় মাস পর্যন্ত একেবারে ঠিক থাকে৷
সুত্র: Reader’s Digest
আর বি