যেভাবে খুব সহজে নারীকে অর্গাজম এর স্বাদ দেবেন

0
21903
নারী,অর্গাজম

দুই গবেষকের মতে, আধুনিক যৌনবিষয়ক টেক্স বইগুলোতে ভ্রূণতত্ত্ব, শারীরতত্ত্ব এবং মনোবিজ্ঞানের বহু বিষয়কে এড়িয়ে চলা হয়। বিগত ১৫ বছর ধরে নারীর যৌনাঙ্গের কথা বলতে গিয়ে ‘ইনার ক্লিটোরিস’-এর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনো বইয়ে এর বিস্তারিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। অথচ এই জিনিসের কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ পুরো ক্লিটোরিস বাইরের একটি প্রত্যঙ্গ, ঠিক পুরুষের যৌনাঙ্গের মতো। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে তার অবস্থান বাইরের দিকে নয়, বলেন ভিন্সেনজো।

ড. জিওলিয়া বলেন, আবার অনেক সময়ই যৌন বিশেষজ্ঞরা ‘ক্লিটোরাস ভাল্ব’ বলে এই প্রত্যঙ্গকে নির্দেশ করেন। কিন্তু একে বলা উচিত ‘ভাস্টিবুলার বাল্বস’। যৌনকর্মের সময় নারীদের ওই অংশটি উত্তেজিত হয়ে ওঠে যাকে ‘ক্লিটোরাস কমপ্লেক্স’ বলা হয়। অথচ একে ‘ফিমেল পেনিস’ বলাটাই শ্রেয়।

নারীকে পুরুষের চাইতে আরো যে বিষটি স্বতস্ফূর্তভাবে পৃথক করেছে ,তা হলো নারীর যৌনাঙ্গ ,তথা যোনি । পুরুষের লিঙ্গ বহিঃমুখী অথচ নারীর যৌন লিঙ্গ নেই , তবে নারীর যৌনাঙ্গ হিসেবে রয়েছে যোনি । এই যোনির মাধ্যমেই নারী পুরুষের সাথে যৌন মিলনে মিশে যায়। যোনি যৌন উত্তেজনার সময় পিচ্ছিল হয়ে উঠে। কেননা যৌন উত্তেজনার সময় নারীর যৌনাঙ্গ থেকে তরলের রস হতে থাকে ।

রাগমোচন বা অর্গাজম কি ? এইটি কি ভাবে হয়ে থাকে?

যৌনতার প্রতিক্রিয়া চক্র কালে সঞ্চিত যৌন উত্তেজনার হঠাৎ স্রাব হওয়া ফলস্বরূপ যৌনতার পরিতোষ বৈশিষ্ট শ্রোণী অঞ্চলের ছন্দোময় পেশীবহুল সংকোচন ঘটে থাকে।

অর্থাৎ যৌনসঙ্গমের শেষ পরিণতি চরমানন্দ লাভ। এই অবস্থাকে বলা হয় রাগমোচন বা অর্গাজম। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের মাধ্যমে রাগমোচন তথা চরমানন্দ লাভ হয়।

পুরুষের অর্গাজম
পুরুষের রাগমোচন বা অর্গাজম হওয়া মানে হল বীর্যপাত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বীর্যপাতের মাধ্যমে রাগমোচন তথা চরমানন্দ লাভ হয়। সে অবস্থাকেই অর্গাসম হওয়া বলে ।

মেয়েদের অর্গাজম
মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা মেয়েরা তাদের যৌনতা উপভোগ করে সম্পূর্ণ মেন্টালেটি দিয়ে। তাদের ছেলেদের মত বীর্যপাত হয়না। বীর্যপাতের ন্যায় বিশেষ ক্ষরণ বা নিঃসরণ হয় না।

আরও পড়ুনঃ   সন্তান ধারণে সক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নারী অবশ্যই এই কাজগুলো করুন

নারীর যৌন স্বাভাবিক আকারে ৯ সেঃমিঃ প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি। তবে এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয় যেমন যৌনমিলনের সময় , সন্তান জন্মের সময় এমনকি হস্তমৈথুনের বা স্বমেহনের সময়।নারীর যৌনাঙ্গের সাথে সম্পর্কযুক্ত একই মাত্রার অঙ্গ হলো সারবিঙ । নারীর যৌনাঙ্গে অথ্যাৎ যোনিতে প্রায় ত্রিশ রকমের কৌশিক কলা রয়েছে । এগুলো গভীর এবং যৌনমিলনের সময় লিঙ্গের চাপ এটি সহ্য করে নিতে পারে । নারীর যৌনাঙ্গ থেকে সাধারণত ল্যাকটিক এসিড নি:স্বরিত হয়। একে যৌনরস বা মিউকাস বলা হয় । এটি যৌন উদ্দিপক এক প্রকার তরল ।

নারীর যৌন উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই তরল নারীর যৌনাঙ্গ বেয়ে বাইরে চলে আসতে পারে। নারীর অপরাপর আভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গগুলো হলো , জরায়ু , পেলভিস, ওভারি ইত্যাদি। জরায়ু বা ইউটেরাস নারীর যৌন জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় । একই সাথে এটি গুরুত্বপূর্ণ ও বটে । নারীর যৌন জীবনের ততোথিক গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ হলো ওভারি বা ডিম্বাসয় । যৌনমিলনের পরে পুরুষের লিঙ্গ নিঃসৃত বীর্য নারীর ওভারিতে ডিম্বাশয়ে জমা হয় এবং তার পরে এটি ফ্যালোপিয়ান টিউব বেয়ে উপরিস্থিতি অংশ হলো ওভিডাক্ট। এটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের সাথে সম্পর্কযুক্ত একটি অঙ্গ । মোটা মুটি এই হচ্ছে নারীর অভ্যন্তরীণ যৌনাঙ্গ । যার দ্বারা নারীর যৌন জীবন পূর্ণাঙ্গ হয়।

নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গ

অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বাইরে পুরুষের চেয়ে নারীর স্বতন্ত্র কিছু যৌনাঙ্গ রয়েছে । প্রথমত এটি হচ্ছে স্তন বা ব্রেস্ট । নারীর স্তন যুগল একই সাথে নারীরত্বকে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি যৌন জীবনে এবং মাতৃত্বকালীন সময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নারীর নারীত্ব পূর্ণ মাত্রায় ফুটে উঠে তার স্তনের বিকাশের সাথে সাথে । পুরুষের নারীর মতো স্তন breast নেই তবে স্তনের স্পর্শে পুরুষও আবেদিত বা উত্তেজিত হয়। যৌন জীবনের প্রধান ভূমিকা রাখে নারীর স্তন। স্তনের স্পর্শের দ্বারা নারী সবচেয়ে মৌলিক এবং চূড়ান্ত যৌন উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। নারীর বহিঃ যৌনাঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে আবেদনশীল যৌনাঙ্গ হলো তার ক্লাইটোরিস। এটি নারীর বাইরের যৌনাঙ্গ। ক্লাইটোরিসকে বাংলাতে ভগাংকুর বলা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে ভগাংকুরের দৈঘ্য এবং প্রস্থ সব নারীর একই সমান নাও হতে পারে তবে সব নারীর ক্ষেত্রেই ভগাংকুরের স্পর্শের আনন্দ অপরিসীম ।

আরও পড়ুনঃ   নারীরা পুরুষদের শরীরের কোন অঙ্গগুলোকে বেশি পছন্দ করে থাকেন?

ক্লাইটোরিস – Clitoris এর মাথা নরম চামড়ার দ্বারা বা ত্বকের আবৃত থাকে। একে কিটোরাল হুড বা ভগাংকুরের আবৃত মাথা বলা যেতে পারে । এই মাথাকে আস্তে সরিয়ে নিলেই লালচে কিংবা সাদাটা যে নরম মাংসের ছোট পিন্ড দেখা যাবে সেটি হলো ক্লাইটোরিস নারী এখানে স্পর্শে আনন্দ অনুভব করে । এই আনন্দ চরমপুলকের মতো আনন্দ দিতে পারে । কোনো কোনো নারীকে দেখা যায় যে তারা যৌনমিলনের আনন্দের চাইতে ভগাংকুরের বা ক্লাইটোরিসের স্পর্শে আনন্দ উপভোগ করে বেশি এবং জীবনব্যাপী তারা যৌন আনন্দ এর মাঝে খুজে পায় ।

ক্লাইটোরিসে যদি নিজ হাতে স্পর্শ করে শারীরিক আনন্দ পাওয়া যায় তবে তাকে স্বমেহন বলা যেতে পারে । কিন্তু বা স্বামির যৌন সঙ্গীর স্পর্শে উক্ত শারীরিক আনন্দ পেলে তাকে আউটার কোর্স বা বাইরের যৌনতা বলা হয় । ক্লাইটোরিসের পরে নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের মধ্যে যৌনির মুখ এবং যৌনির ঠোঁটের ব্যাপারটি চলে আসে । নারীর যোনির অর্থাৎ যৌনমিলনের প্রধান অঙ্গের উপরিভাগে দুটো ঠোঁট থাকে । এর একটির নাম ল্যাবিয়া ম্যাজোরা এবং অন্যটির নাম ল্যাবিয়া ম্যানোরা ।

ল্যাবিয়া ম্যাজোরা হলো অপোকৃত বড় ঠোঁটটির নাম এবং ল্যাবিয়া ম্যানোরা হলো অপোকৃত ছোট ঠোঁটটির নাম। যৌন উত্তেজনার সময় যোনির এই দুটি ঠোঁট এমনিতেই একটু ফাঁক হয়ে যায় বা সরে যায় । ক্লাইটোরিসের নিচে মূত্র নালীর একটি জায়গা আছে । এখান দিয়ে নারীর মূত্র ত্যাগ করতে হয় । মোটা মুটি নারীর বহিঃযৌনাঙ্গের ধারণা হলো এমন । নারীর এই বহিঃযৌনাঙ্গের পুরো অঞ্চলটিকে বলা হয় Vulva এই অঞ্চলে প্রচুর যৌন কেশ বা যৌন লোমের বিকাশ।

মেয়েদের অর্গাজমের আসল রহস্য কি?

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + 9 =