ব্রণ: প্রতিরোধের উপায়

0
1516
ব্রণ প্রতিরোধ,how to prevent acne

তরুণ-তরুণীদের বয়ো:সন্ধিকালে এন্ড্রোজেন হরমোন নি:সরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বেশি ব্রণ দেখা দেয়। বংশগতভাবে বাবা-মায়ের ব্রণ থাকলে ছেলে মেয়েদের ও ব্রণ হতে পারে। এছাড়া অতিসংবেদনশীল ত্বকেও ব্রণ বেশি হতে পারে। যেসব কারণে ব্রণ বেশি হয়ে থাকে তা নিম্নরূপ:
১। মানসিক চাপ ২। ঋতুকালীন সময়ে ৩। তৈলাক্ত মেকআপ বা প্রসাধনী বেশি ব্যবহার করলে ৪। জন্ম নিরোধক বড়ি খেলে ৫। গর্ভধারণ করলে ৬। মুখ অপরিষ্কার থাকলে বা অত্যধিক সাবান ব্যবহার করলে ৭। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ৮। খাদ্য সঠিকভাবে পরিপাক না হলে ৯। স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ বেশি গ্রহণ করলে।
ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য যেভাবে মুখ ধোবেন ঃ
১। দিনে ২ বার মুখ পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত মুখ ধুলে বা ঘষা মাজা করলে চামড়ায় ইনফেকশন হয়ে ব্রণ বেশি হতে পারে। ২। শুধুমাত্র হাত দিয়ে মুখ ধোবেন। মুখ ধোয়ার জন্য কাপড় ব্যবহার করবেন না বা শক্ত কিছু দিয়ে ঘষামাজা করবেন না। যেহতেু ধূলা-ময়লাই শুধুমাত্র ব্রণের কারণ নয় তাই অতিরিক্ত ঘষা মাজার প্রয়োজন নেই।
৩। কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
৪। মুখ ধোয়ার পর নরম তাওয়াল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য যেসকল অভ্যাস পরিবর্তন দরকার ঃ
খাদ্য নির্বাচন
নিয়মিত সুষম খাদ্য নির্বাচন করুন। যেসকল খাবারে আপনার এলার্জি বাড়ে বলে আপনি মনে করেন সেসকল খাদ্য পরিত্যাগ করুন।
বিশুদ্ধ পানি সেবন
বিশুদ্ধ পানি সেবন করুন। বিশুদ্ধ পানি হতে আপনি ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম পেতে পারেন। দূষিত পানি অনেক রোগের কারণ। শুধুমাত্র ফুটালেই বিশুদ্ধ হয় না, মৌলিক উপাদানের আধিক্যের কারণেও পানি দূষিত হয়। যেমন-আর্সেনিক, আয়রন এর অত্যাধিক মাত্র।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ হতে নিজেকে মুক্ত রাখুন। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ব্রণের তীব্রতাও বেড়ে যায় কাজেই টেনশন মুক্ত থাকুন ও জীবনকে উপভোগ করুন।
মুখ খুটাখুটি না করা
ব্রণ খুটলে মুখের চামড়ায় আরো বেশি ইনফেকশন হয় ফলে ব্রণ বাড়তে পারে।
কসমেটিকস
তেল বা চর্বি যুক্ত কসমেটিকস ঘর্ম গ্রন্থির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নালীকা বন্ধ করে ফলে ব্রণ বেশি হতে পারে। অতাধিক কসমেটিকস ব্যবহার করা উচিত নয়।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:
হোমিওপ্যাথিতে অনেক ঔষধ রয়েছে ব্রণের জন্য। প্রথম গ্রেডের ঔষধের মধ্যে রয়েছে। আরাম মেট, ক্যালকেরিয়া সালফ, কারবো ভেজ, কস্টিকাম, ডালকামরা, হিপার সালফ, কেলি ব্রম, নাক্সভমিকা, ফসফরাস, সিপিয়া, ইত্যাদি। এছাড়া দ্বিতীয় গ্রেডের যে সব ঔষধ বেশি ব্যবহৃত হয় যেগুলো হচ্ছে, এন্টিম ক্রুড, আর্সেনিক, বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া কার্ব, নাইট্রিক এসিড, এসিড ফস, সরিনাম, সালফার ইত্যাদি। এব্যাপারে চিকিৎসক তার অভিজ্ঞতার আলোকে ঔষধ ব্যবহার করবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ ব্যবহার ঠিক হবে না।
-আইএইচ এম আর ফিচার

আরও পড়ুনঃ   বিপজ্জনক রোগ ভাইরাল হেপাটাইটিস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 2 =