সিনেমার দুনিয়া থেকে নিজেকে দূরে নিয়ে চলে যান। জানবেন, জীবনের মতো হলেও, সিনেমা কিন্তু আসলে লার্জার দ্যান লাইফ। ফলে অনুকরণ করবেন না। অন্ততপক্ষে ফুলশয্যার রাতে তো নয়ই। ফুলশয্যার রাত মানে সেক্স নয়। এই রাত যেমন স্পর্শকাতর, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর কাছে নিজেকে আদর্শ পুরুষ হিসেবে প্রতিস্থাপন করার আদর্শ রাত হল ফুলশয্যার রাত। গায়ের জোরে নয়, মনের মাধুরী মিশিয়ে স্ত্রীকে আপন করে নিন সেই রাতে।
একথা সত্যি, বিয়ে নিয়ে নারীপুরুষের মন অসম্ভব রকম বিচলিত হয়ে ওঠে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। নব বর-বধূকে বলি, এসময় অতিরিক্ত উত্তেজনা ঠিক নয়। উত্তেজনার বশে যদি ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন, ক্ষতি কিন্তু আপনারই। তার মধ্যে অন্যতম ফুলশয্যার রাত। সে রাতে সেক্স করা কতখানি আবশ্যক, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। একাংশ মনে করেন, দাম্পত্য শুরু করতে ফুলশয্যার রাতই নাকি সঙ্গমের জন্য আদর্শ রাত। কিন্তু তাতে অনেকরকম গোল বাঁধতে পারে। এক, দু-জনের সায় না থাকলে জোরাজুরির একটা প্রশ্ন এসে যায়। প্রথা মেনে চলতে গিয়ে সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যায়। অন্যদিকে আধুনিক সমাজের মত, ফুলশয্যার রাত কেবল যৌনতার রাত নয়। সে রাত বোঝাপড়ার রাতও বটে। স্ত্রীকে বোঝা, তার স্বভাব স্টাডি করা, এসব আরকী।
তাই বিয়ের রাতে সেক্স করবেন কি করবেন না, সেটা আপনার হাতে। আর আপনার স্ত্রীর হাতে। তিনি যদি সে রাতেই সেক্স করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, এগিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু যদি তিনি ইতস্তত করেন, স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বটা আগে সেরে ফেলুন। তিনি কেমন, বা তাঁর পছন্দ কি সেসব জানার চেষ্টা করুন। স্ত্রীকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে দিন। বিয়ের প্রথম রাতে অধিকাংশ মেয়েই লজ্জা লজ্জা পায়। তেমনটা হলে নিজের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন। অহেতুক রাগ প্রকাশ করবেন না। বরং সুমিষ্ট ব্যবহারের মাধ্যমে স্ত্রীর মন জয় করার চেষ্টা করুন।