আপনি কি সারাদিন কাজ করেন? শারীরিক ও মানসিকভাবে সারাদিন কাজ করে আপনি এতটাই ক্লান্ত যে বিছানা দেখার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়েন। সারাদিন কাজ করলে ক্লান্ত হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু রাজা-বাদশাদের কথা তো শুনেছেন, তারা কীভাবে এতদিন যৌবন ধরে রাখতে পারলেন? এবং এত বছর ধরে তাদের মধ্যে এত শক্তি কীভাবে থাকতে পারে?

আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন যে একজন রাজার অনেক রাণী এবং বান্ধবী ছিল। কিন্তু আপনি ভাবতে পারেন যে, রাজা কিভাবে এত বছর তারা যৌবন ধরে রাখতে পারলেন। আরে মশাই, নিজেকে ফিট রাখার জন্য রাজারা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতেন।
রিপোর্ট অনুসারে, রাজাদের দ্বারা ব্যবহৃত আয়ুর্বেদের বিভিন্ন উপায় /পদ্ধতি ছিল এবং সেগুলি তাদের ডাক্তাররা/বৈদ্য এবং ফকিররা সরবরাহ করতেন। এসব পদ্ধতির মধ্যে সোনা, রূপা, জাফরান ইত্যাদি ছিল, তবে কিছু ভেষজও ছিল যা খুবই সস্তা এবং সহজলভ্য। এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে, রাজারা বহু বছর ধরে তাদের যৌবন ধরে রাখতে পারতেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সব বিষয় সম্পর্কে।
সাদা মুসলি:- সাদা মুসলি দিয়ে তৈরি ওষুধ পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব বা স্প্যামের কমতি থেকে বাঁচায়। উপায়: তারা এক চামচ মুশলির গুঁড়া দুধ ও মিছরির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতেন। তাছাড়া এর মাধ্যমে ধূমপানের কারণে সৃষ্ট মানসিক বিরক্তি দূর করা হত বলে জানা যায়।
কেসর:- শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক মত না চলার কারনে যৌনাঙ্গের বিস্তার কম এবং বন্ধ্যাত্বের মতন রোগ হয়। এই সব দূর করার জন্য কেসর ব্যবহার করা হতো। উপায় – ১ চিমটি কেশর উষ্ম গরম দুধে রাতে খেতেন তারা।
শতাবর:- বন্ধ্যাত্ব, ধুম্রপান, মদ সেবন ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার কারণে আসা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন তথা স্পার্ম ঠিক করার জন্য শতাবর ব্যবহার করা হতো। উপায় – 1 চা চামচ মিছরি, গরুর ঘি এবং আধা চা চামচ শতবার পাউডার মিশিয়ে দুধের সাথে সেবন করা হতো এবং তারপরে দুধ সেবন করত।
শিলাজিৎ:- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বার্ধক্য, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন মানে শিরায় রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় শুক্রাণুর বৃদ্ধি কমে যাওয়া, দুর্বলতা-এই সমস্ত রোগের জন্যশিলাজিত্ ব্যবহার করা হত। উপায়: তারা চালের সাইজ অনুযায়ী বা ১ চিমটি শিলাজিতের গুঁড়ো নিয়ে গরুর ঘি বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হয়।
তেঁতুলের দানা:– শুক্রাণুর বৃদ্ধি, ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে রক্তপ্রবাহ শিরার মধ্যে সঠিকভাবে যাতে প্রভাবিত হয়। যার কারণে এনার্জি আসে, এর জন্য তেতুলের দানা ব্যবহার করা হতো। উপায়- তেঁতুলের দানাকে গুঁরিয়ে পাউডার বানিয়ে সেটিকে সকাল ও বিকেলে মিছরি বা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতেন।
আমলকি:- প্রসাবের অসুবিধা, শুক্রাণু বাড়ানো এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশন মানে রক্তের প্রবাহ শিরায় সঠিকভাবে বাড়ানো, সে সমস্ত রোগের জন্য আমলকী ব্যবহার করা হতো। উপায়- ১ চামচ আমলকী পাউডার এবং এক চামচ মিছরি পানির সঙ্গে গুলে খেতেন। তারপর উষ্ম গরম দুধ খেতেন।
অশ্বগন্ধা:- শুক্রাণুর কমতি, ইমিউনিটি, দুর্বলতা বিভিন্ন কারণের জন্য অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। উপায় – রাতে শোবার আগে উষ্ম গরম দুধের সাথে এক চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে খেতেন তারা।
পূনর্নবা:-পূর্ণনবাকে অনেকেগদহপূরাণও বলে থাকেন। অনেকে ব্যথা, সর্দি ও কাশির জন্য এটি ব্যবহার করেন। অনেকে এই পাতাটি অ্যান্টি-এজিং এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও ব্যবহার করেন। উপায়: তারা আধা চা চামচ পুনর্নবার গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খেতেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না:– এই সব ভেষজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এই ভেষজগুলি ব্যবহার করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভুলবেন না। এবং তারপর এই ঔষধি ব্যবহার করুন।