তৃষ্ণা মেটাতে জলের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু পানির তৃষ্ণা যখন পায়, তখন কি আমরা ঠিক পদ্ধতি মেনে কয়জন পানি পান করি।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বেশিরভাগই জানেন না যে ঠিক পদ্ধতিতে পানি পান না করলে শরীরের কোনও উপকারই হয় না। তাই তো তৃষ্ণা মিটলেও শরীরের ভিতর প্রবেশ করা পানি আদৌ আমাদের দেহের কোনও কাজে লাগে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। পানি পানের সময় সাধারণত যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলি হল-
১। অনেকই আছে যারা পানি পানের সময় একেবারে অনেক মাত্রায় পানি পান করে থাকেন এবং এমনটা করতে গিয়ে পানি প্রায় গিলে গিলে খান। এইভাবে পানি পান করলে শরীরের ভিতর হঠাৎ করে চাপ খুব বেড়ে যায়, ফলে নানাবিধ অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সব সময় অল্প অল্প করে জল পান করতে হবে।
২। শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকলে নানাবিধ লক্ষণের প্রকাশ ঘটে থাকে। যেমন ধরুন প্রস্রাব হলুদ হতে থাকে, সেই সঙ্গে ঠোঁট এবং গলা শুকিয়ে যায়। এই ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করাটা জরুরি। এই বিষয়ে যত সচেতনতা বাড়বে, তত রোগের প্রকোপ কমতে থাকবে। কারণ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩। শরীরের কথা ভেবে এই বিষয়টা সর্বক্ষণ মনে রাখতে হবে যে ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করা চলবে না। কারণ এমনটা করলে দেহের ভিতর জলের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। ফলে জয়েন্টে পানি জমে গিয়ে আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, বসে জল খেতে হবে।
৪। ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এই কারণেই তো ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কম করে ২ কাপ জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। গবেষণায় দেখা গেছে সকাল সকাল পানি পানের অভ্যাস করলে কিডনি এবং ইনটেস্টাইনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৫। চিকিৎসকেদের মতে খাবার খাওয়ার কম করে ১-২ ঘন্টা পর পানি পান করা উচিত। এমনটা না করলে হজমে সহায়ক পাচক রসের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে হজম ঠিক মতো না হাওয়ার কারণে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।