সাম্প্রতিক বায়ুদূষণের কারণে দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের জটিল রোগ। সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফুসফুসসহ হার্ট ও কিডনীতে। তার উপর আবার অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। এর কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে ফুসফুুস।
কিন্তু একটু সচেতন হলেই ধুমপান আর বায়ু দূষণের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা যায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম আমলকি, টমেটো, কলা গুড় ও হলুদের মতো খাবার।
আমলকি
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকি খেলে ফুসফুসের ধূলি ও ধোঁয়া জনিত সব ক্ষতি ঠেকানো যায়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও আমলকির জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা।
টমেটো
শরীরকে রোগ প্রতিরোধক্ষম করে তোলে টমেটো। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টমেটোর এসব কার্যক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, টমেটোতে আছে দারুণ অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ প্রভার, যা কোষকে বুড়ো হতে দেয় না। এ ছাড়া নানা রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে টমেটো। টমেটোর লাইকোপেন শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা–স্তর হিসেবে কাজ করে।
হলুদ
হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কফ ও অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে হলুদ ও ঘিয়ের মিশ্রণ কাজে লাগে। এ ছাড়া হলুদ, গুড় ও মাখনের মিশ্রণ অ্যাজমা দূর করতে পারে।
কলা
সবগুণে গুণান্বিত কলা। বলা হয়ে থাকে কেউ যদি দিনে ৫ টি সিগারেট খান তারপরেই একটি কলা খান। তার কারণ হল সিগারেট খাওয়ারপর যে ক্ষতি হয় আমাদের ফুসফুসের ১ টি কলাতেই তার সমাধান পাওয়া যায়।
গুড়
অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিসের মতো অনেক শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় কার্যকর হতে পারে গুড়। তিলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। ফুসফুসের যেকোনো ধরনের প্রদাহে কার্যকর ভূমিকা রাখে গুড়।