ডিম খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। সকালের নাশতায় যাদের নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস আছে, তারা সাধারণত এ বিশেষ ফায়দাটুকু পেয়ে থাকেন। উন্নত দেশে সকালের নাশতায় থাকে ডিম, দুধ, পাউরুটি ও কমলালেবু। দিবসের প্রথম আহারে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত ও শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ডিমের কোলিন (Choline) মস্তিষ্ককে শানিত করে। এটি ভিটামিন ‘বি’ জাতীয় একটি রাসায়নিক এবং অনেক সময় ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত হিসেবেই দেখানো হয়। তবে ভিটামিন ‘বি’ দিয়ে কোলিনের অভাব পূরণ করা যায় না। কোলিন মস্তিষ্কসহ স্নায়ুতন্ত্রের গঠন, কার্যক্রম পরিচালনা, স্মৃতিশক্তির বিকাশ লাভ এবং এটি সতেজ রাখার জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পর্যাপ্ত কোলিনের উপস্থিতিতে চিন্তাশক্তি দ্রুত ও গতিশীল হয়, স্নায়ুর পরিবহন, স্মৃতি ধরে রাখা ও কোনো জিনিস দেখে চিনতে পারা সহজ হয়।
কোলিনে ভরপুর শিশুরা খুব সহজে পড়াশোনা মনে রাখতে পারে এবং ওদের বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্কের কার্যক্রম অনেকটা অপরিবর্তনীয় থাকে। তাদের স্মৃতিশক্তিও ততটা ফিকে হয়ে যায় না। গর্ভবতী মায়েদের ডিম ও দুধসহ অন্যান্য খাবারের মাধ্যমে প্রচুর কোলিন গ্রহণ করা উচিত। তাতে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সুন্দর ও নিখুঁত হয়, মেমোরি শার্প হয় এবং তারা প্রত্যুৎপন্নমতি হয়ে থাকে। শিশুর কোলিন গ্রহণের আরেকটা সুযোগ হয় মায়ের দুধ খাওয়ার সময়। মায়ের দুধে কোলিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণ কোলিন থাকে। ডিম ছাড়াও কোলিন পাওয়া যায় শিমের বীচি, সামুদ্রিক মাছ, যকৃৎ, ফুলকপি, তিসির বীজ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে। তবে ডিম খেয়ে আমরা খুব সহজেই এ মহামূল্যবান কোলিন পেতে পারি। কোলিনকে মেমোরি পিলও বলা হয়ে থাকে।
ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ
nasiruddin1544@gmail.com