গর্ভাবস্থায় যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত না

0
365
গর্ভাবস্থায় প্রসাধনী ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না এগুলো কমবেশি সবার জানা। তবে অনেকে সাজসজ্জায় নানান ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থকেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কিছু সাজসজ্জা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এই প্রসাধনীগুলো ক্ষতি করতে পারে গর্ভের সন্তানের। জেনে নেয়া যাক কোন প্রসাধনীগুলো গর্ভবস্থায় ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে।

ফরমালডিহাইড:
চুল স্ট্রেইট করতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তার মাঝে থাকতে পারে এই রাসায়নিকটি। এর পাশাপাশি নেইল পলিশ, আইল্যাশ গ্লু এগুলতেও থাকতে পারে। ক্ষতিকর উপাদানগুলোর মাঝে আছে ফরমালডিহাইড, কোয়াটারনিয়াম-১৫, ডাইমিথাইল-ডাইমিথাইল (DMDM), হাইডেনটয়েন, ইমিডাজলিডাইনিল ইউরিয়া, ডাইঅ্যাজোলিডাইনিল ইউরিয়া, সোডিয়াম হাইড্রক্সিমেথাইলগ্লাইসিনেট এবং ২-ব্রোমো-২-নাইট্রোপ্রোপেন-১, ৩-ডাইঅল (ব্রোমোপল)।

কেমিক্যাল সানস্ক্রিন:
অ্যাভোবেনজিন, হোমোস্যালেট, অক্টিস্যালেট, অক্টোক্রাইলিন, অক্সিবেনজোন, অক্সটিনক্সেট, মেন্থাইল অ্যানথ্রানিলেট এবং অক্সটোক্রাইলিন- এসব উপাদান আছে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন।

অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট:
এই উপাদানটি থাকে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ধরণের বডি স্প্রে বা রোল অনে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড হেক্সাহাইড্রেট এবং অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরোহাইড্রেট আছে কিনা তার ব্যাপারে সাবধান থাকুন।

বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড:
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (অনেক ফেসওয়াশে থাকে), ২-হাইড্রক্সিপ্রোপায়োনিক অ্যাসিড, ট্রেথোকেনিক অ্যাসিড এবং ট্রপিক অ্যাসিড- এগুলো আপনার প্রসাধনীর উপাদানের অন্তর্ভুক্ত থাকলে সেটা ব্যবহার করবেন না।

ডাইথানোলঅ্যামিন:
চুলের এবং ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু প্রসাধনীতে এই ধরণের রাসায়নিক থাকে। ডাইথানোলঅ্যামিন, ওলিঅ্যামাইড DEA, লরামাইড DEA এবং কোকামাইড DEA থেকে দূরে থাকুন।

ডাইহাইড্রক্সিঅ্যাসিটোন:
স্প্রে সেলফ-ট্যানার ধরণের প্রসাধনীতে পাওয়া যায়। এটা নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে গেলে ক্ষতি করতে পারে।

হাইড্রোকুইনোন:
রং হালকা করতে এই রাসায়নিকটি ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকুইনোন, ইড্রোকিনোন এবং কুইনোল/১-৪ ডাইহাইড্রক্সি বেনজিন/১-৪ হাইড্রক্সি বেনজিন আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

রেটিনল:
অ্যান্টি-এজিং প্রসাধনীগুলোতে ইদানিং বেশি ব্যবহার হয় রেটিনল। ভিটামিন এ, রেটনয়িক অ্যাসিড, রেটিনাইল পামিটেট, রেটিনালডিহাইড, অ্যাডাপালিন, ট্রেটনয়িন, টাজারটিন, এবং আইসোরেটিনয়িন আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার বন্ধ রাখুন।

আরও পড়ুনঃ   বালকদের ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ নিয়ে কিছু পরামর্শ ও চিকিৎসা

থায়োগ্লাইকলিক অ্যাসিড:
হেয়ার রিমুভারে থাকতে পারে এই উপাদানটি। এই নাম ছাড়াও অ্যাসিটাইল মারক্যাপটান, মারক্যাপটোঅ্যাসিটেট, মারক্যাপটোঅ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং থায়োভ্যানিক অ্যাসিড নামেও তা থাকতে পারে।

টলুইন:
বিভিন্ন নেইল পলিশে থাকে টলুইন। মিথাইলবেনজিন, টলুঅল এবং অ্যান্টিসাল ১এ- এই উপাদানগুলো থাকলে তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

প্যারাবেন:
প্রোপাইল, বিউটাইল, আইসোপ্রোপাইল, আইসোবিউটাইল এবং মিথাইল প্যারাবেন আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।

থ্যালেট:
কৃত্রিম সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী এবং নেইল পলিশে থাকে বিভিন্ন ধরণের থ্যালেট। ডাইইথাইল এবং ডাইবিউটাইল থ্যালেটের ব্যাপারে বেশি সাবধান থাকুন। সূত্র: ফিট প্রেগনেন্সি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 − 2 =