একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে শীতকালেই আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। কারণ বছরের এই সময়ই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু দুর্বল হয়ে পরে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে নানাবিধ জীবাণুর আক্রমণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঠান্ডার উপদ্রোপ তো আছেই। কিন্তু একথাও ঠিত যে নানভাবে শীতের ঠান্ডা আমাদের শরীরের উপকারেও লেগে থাকে।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশমে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে শীতকালে আমাদের ক্ষিদে বেড়ে যায়। ফলে ভাল-মন্দ খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
আর একথা তো সবাই জানেন যে ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে ভিতর থেকে শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে রোগভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে সেই চিন্তা দূর হওয়ার সময় এসে গেছে। কারণ শীতকাল একেবারে দোরগোড়ায়। আর একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে ঠান্ডার সময় শরীর প্রতি মুহূর্তে নিজেকে গরম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
আর এই কাজটা শরীর করে থাকে চর্বি গলানোর মধ্যে দিয়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ বার্ন হতে শুরু করায় ওজন কমতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, জার্নাল অব ক্লিনিকাল ইনভেস্টিগেশনে প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে শীতকালে আমাদের শরীরে জমতে থাকা খারাপ ফ্যাট বা ব্রাউন ফ্যাট গলতে শুরু করে। ফলে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
শীতকালে আরেকভাবে ওজন কমে থাকে। পৃথক এক গবেষণায় দেখা গেছে ঠান্ডার সময় আমাদের কাঁপুনি হয়েই থাকে। এমনটা হওয়ার সময় প্রচুর পরিমাণে চর্বি ঝরতে শুরু করে।
একটি রিপোর্টে এমনটাও দাবি করা হয়েছে যে প্রায় ১ ঘন্টা শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ চর্বি ঝরে, সেই একই পরিমাণ ঝরে প্রায় ১৫ মিনিট কাঁপুনি হলেও।
ফাতেমা তুজ জোহুরা