ক্যান্সার প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
তিনি বলেন, ক্যান্সার সম্পর্কে সবাইকে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। ক্যান্সার কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, এটি প্রতিরোধ করা যায়।
গতকাল দুপুরে ইংরাজি পত্রিকা ‘দি ডেইলি স্টার’ সেন্টারের আজিমুর রহমান মিলনায়তনে ক্যান্সারসংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং ‘ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের ডাক্তাররা বুকে-বুগলে হাত দিয়ে রোগী দেখা, রোগীর স্ক্রিন, লিভার অনুভব করা। খুবই জরুরি। মাত্র ক্যান্সারের ডাক্তারগণই এ কাজটি করেন। দেশের চার শতের মতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রর মাত্র তিনজন করে চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ সময় তিনি কমপক্ষে বছরে একবার হলেও এ প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানান।
দেশের সংবাদমাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রোগ্রাম প্রচার-প্রসারে অন্যান্য অতিথিরা সমালোচনা করলেও সাবেক এ রাষ্ট্রপতি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের সব সংবাদমাধ্যমেই স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি প্রোগ্রাম থাকে, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এ সময় তিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক গণমাধ্যম আছে বলেও জানান।
বিড়ি, সিগারেট, হুঁকা, গুল, জর্দা ইত্যাদির দাম বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি বিড়ি, সিগারেট এগুলোই ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তবে অর্থমন্ত্রী যারা থাকেন তারা কেউই এগুলোর দাম কমাতে চান না। কারণ এ খাত থেকেই সরকারের বেশি রাজস্ব বৃদ্ধি হয়।
‘মোসাব্বির ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার’সহ দেশে এ ধরনের আরো অনেক অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সরকার এবং ডাক্তারসহ বিত্তবানদের প্রয়োজন। দেশের দূরদূরান্ত থেকে দারিদ্র্য ও অসহায় ক্যান্সার রোগীরা এ ধরনের কেন্দ্র থেকে চিকিৎসাকালীন বিনামূল্যে আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্œ প্রকার চিকিৎসা সহায়তা পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
মোসাব্বির ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল মোদাস্সের হোসেন খান (অব:) বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুব জামিল, দি ডেইলি স্টারের সহযোগী সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহেদুল আনাম খান, এটিএন বাংলা টেলিভিশনের উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান, অধ্যাপক এম এ মান্নান, সবুজবাংলা২৪ডটকমের সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।