খিদে কার না পায়? কিন্তু জানেন কি সব সময় একই রকম খিদে পায় না? মানেটা বুঝলেন না নিশ্চয়ই? ভাবছেন খিদের আবার রকমফের আছে নাকি? খিদে যখন পায় তখন তো প্রতিবার একই রকম অনুভব হয়। কিন্তু খিদেরও অনেক ভাগ আছে। একেক রকম খিদের একেক রকম উপশম। কোন খিদের কী নিরাময় পদ্ধতি তা জেনে নিন গ্যালারি থেকে।
1.খিদে+রাগ: এই দুটো এক সঙ্গে দেখা দিলে আর রক্ষে নেই। কিন্তু খিদে বেশি পেয়ে গেলে রাগও কেন চড়চড় করে বাড়ে?
আসলে খিদে বাড়লে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। ফলে শরীরে এনার্জি কমে যায়। তখনই আমরা রেগে যাই।
এই অবস্থার মোকাবিলা করতে সঙ্গে সঙ্গে কিছু হেলদি স্ন্যাক্স খাওয়া উচিত। বাদাম বা ইয়োগার্ট জাতীয় দিনিস খাওয়া যতে পারে।
যা সঙ্গে সঙ্গে রক্তের শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করে এবং মুড ভাল করে।
2.জলের খিদে: অনেক সময় আমাদের জল তেষ্টা পায়। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক কিছু খাওয়ার দিকে আমাদের মনকে চালিত করে।
ফলে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কিছুটা ক্যালোরি শরীরে চালান করে ফেলি।
অথচ সেই সময় জল খেলেই সেই খিদে মিটতে পারত। অনেক সময় আমাদের শরীরে জলের অভাব হয়। সেই সময় প্রথমে কিছুটা জল খেয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করা উচিত।
অনেক সময় এতেই খিদে মিটে যায়। তবে তারপরও যদি খিদে পেতে থাকে তখনই খাবার খান উচিত।
3.বোরড-খিদে: যখন কোনও কাজ ছাড়া আমরা বোরড হয়ে যাই, তখন আমাদের কোনও কারণ ছাড়াই খিদে পেতে থাকে।
ফলে খিদে না পেলেও কিছু খাবার খেয়ে ফেলি আমরা। এই ধরনের খিদের হাত থেকে বাঁচতে ঘন ঘন জল খাওয়া উচিত।
অথবা মুখে একটা চিউইংগাম রাখা উচিত। শুধু তাই নয়, বই পড়া বা সিনেমা দেখার মতো কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেও খিদে কম পাবে।
4.টিভি-খিদে: খিদে না থাকলেও টিভি দেখতে দেখতে পপকর্ন বা চিপসের বাটি নিমেষে ফাঁকা করে দেন অনেকেই।
কিন্তু খিদে না থাকলে এই ধরনের ক্যালোরি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। বোরড লাগলে চিউইংগাম চিবোতে পারেন।
অথবা শশা, গাজর পছন্দসই কোনও ফল খেতে পারেন।
5.ইমোশনাল-খিদে: অনেক সময় খুব বেশি দুশ্চিন্তা করলে অথবা মানসিক চাপে থাকলে খিদে পেতে থাকে।
ঠিক খিদে না পেলেও অকারণেই কিছু না কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হয়।
এই ধরনের খিদে ভাব কাটাতে চেষ্টা করুন আপনার পছনদসই কোনও কাজে ব্যস্ত থেকে। এতে মনও যেমন ভাল থাকে, তেমনই অকারণে খিদেও পাবে কম।