এসিডিটি কমানোর চমৎকার ১০টি উপায়

0
1823
এসিডিটি কমানোর উপায়

আপনি কি প্রায়ই পেট ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভোগেন? খাওয়ার পর কি পেট ফাঁপা বা ফোলা ভাব হয় আপনার? উত্তর হ্যাঁ হলে আপনি হয়তো এসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন।

এসিডিটি ও বুক জ্বালাপোড়া একটি প্রচলিত সমস্যা। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে এসিডিটির সমস্যা অনেকটাই উপশম করা যায়।

এসিডিটি গোটা বিশ্বের জন্যই প্রচলিত একটি সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কিছু কিছু খাবারে অ্যালার্জি, কিছু ওষুধ ইত্যাদি এসিডিটি বা পাকস্থলীর জ্বালাপোড়ার সমস্যা তৈরি করে।

এ ক্ষেত্রে পাকস্থলী জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি ব্যথাও হয়। কখনো কখনো গলার শুষ্কতা হয়। এ বিষয়গুলো একজন মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।

এসিডিটি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ।

১. ঠান্ডা দুধ

এসিডিটি কমাতে একটি চমৎকার ঘরোয়া উপায় হলো ঠান্ডা দুধ খাওয়া। দুধের ঠান্ডা ভাব গ্যাসট্রিকের সমস্যার কারণে হওয়া পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া কমায়।

২. পুদিনা

পুদিনার পাতা এসিডিটি কমাতে একটি উপকারী ঘরোয়া উপাদান। আধা গ্লাস করে পুদিনার জুস দিনে দুবার পান করুন। এতে এসিডিটি কমবে।

৩. ডাবের পানি

ডাবের পানি এসিডিটি প্রতিরোধে একদম উপযোগী একটি ঘরোয়া উপাদান। এটি পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। দিনে দুই বেলা ডাবের পানি পান করুন।

৪. আইসক্রিম

এসিডিটির জ্বালাপোড়া কমাতে আইসক্রিম খেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভ্যানিলা ফ্লেবার বেছে নিন। এতে খুব দ্রুত পেটের জ্বালাপোড়া কমবে।

৫. শসা

শসা খাওয়া পাকস্থলীকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ পানি থাকে। এটি ইরিটেশনের চিকিৎসায় ভালো কাজ করে এবং পেটের জ্বালাপোড়া কমায়।

৬. লবঙ্গ

লবঙ্গ খেলে জিহ্বায় একটি ঝাঁঝালো স্বাদ হয়। লবঙ্গ হজমে সাহায্য করে একং এসিডিটির সমস্যা কমায়।

৭. ওটমিল

এসিডিটির সমস্যায় ভুগলে সকালের নাশতায় ওটমিল খেতে পারেন। ওটমিল কেবল স্বাস্থ্যকর আঁশ বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য সমৃদ্ধ নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি পাকস্থলী থেকে বাড়তি এসিড বের করে এসিডিটি কমায়। ওটমিল স্ন্যাকস হিসেবেও ফলের সঙ্গে খেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ   লিভার নষ্ট হওয়ার এই ১০টি কারণ কি আপনার মধ্যে আছে? আজই সচেতন হউন…

৮. আদা

আদা ভেষজ উপাদান হিসেবে অসাধারণ, এটা প্রায় সবারই জানা। আদা প্রাকৃতিকভাবে এসিডিটি কমাতে কাজ করে। এটি গাট ভালো রাখে। এসিডিটি কমাতে আদার চা পান করতে পারেন।

৯. কলা

প্রতিদিন একটি কলা খেলে এসিডিটি দূরে থাকে। কলা খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে আঁশ, পটাশিয়াম। এটি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কলার মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি পাকস্থলী থেকে এসিড কমিয়ে এসিডিটি দূর করে।

১০. মুরগির মাংস

মুরগির মাংস, মুরগির মাংসের স্যুপ এসিডিটি কমাতে উপকারী। তবে এ ক্ষেত্রে মুরগির মাংস খুব ঝালমসলা দিয়ে রান্না করবেন না। অল্প তেল ও অল্প মসলায় রান্না করা মুরগির মাংস এসিডিটি প্রতিরোধে সহায়ক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen + sixteen =