হেপাটাইটিস এ -কারণ ,লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন

0
1164
হেপাটাইটিস এ

মানব শরীরে হেপাটাইটিস এ সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যকৃত। এই ভাইরাস যকৃতের কার্যক্ষমতায় নষ্ট করে দেয়। হেপাটাইটিস এ পায়ুমুখের সাহায্যে মানব দেহে ছড়িয়ে থাকে। সংক্রামিত খাদ্য বা পানির মাধ্যমে এই রোগ এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এক মাসের মধ্যেও কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয় না।

এই ভাইরাসটি মলের মাধ্যমে ছড়ায়। মলত্যাগের পর ব্যবহৃত হাত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাছাড়া দূষিত পানি এবং খাদ্যের মাধ্যমেও ছড়িয়ে থাকে। কখনো এই ভাইরাস মহামারি আকারেও ছড়াতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত শিশু ও কিশোরদের আক্রান্ত করে না। এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় রোগীই সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। হেপাটাইটিস এ এর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে একমাসের ভেতর কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। যখন বোঝা যায় তখন, যকৃত অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-

– অবসাদ অনুভব করা।

– বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি করা।

– পেট ব্যথা করা।

– ক্ষুদা মন্দা।

– হাল্কা জ্বর।

– গাঢ় রংয়ের প্রস্রাব।

– মাংসপেশীতে ব্যথা।

– শরীরে চুলকানি হওয়া।

– চোখ এবং শরীরের চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া।

হেপাটাইটিস এ এর উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নিকটস্থ জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। হেপাটাইটিস প্রতিরোধে নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা-

– বমি ভাবের কারণে কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে না। নিজেকে সুস্থ রাখতে সারাদিন অল্প করে হালকা ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিৎ।

– নিরাপদ বা বিশুদ্ধ পানীয় পান করতে হবে।

– দূষিত খাদ্য বর্জন করতে হবে। যেমন-রাস্তার পাশের বা হোটেল-রেস্তোরাঁর খোলা খাবার গ্রহণ না করা। নিজের বাসা-বাড়িতে তৈরি খাদ্যদ্রব্য যথাসম্ভব ঢেকে রাখা।

আরও পড়ুনঃ   বার্ড ফ্লুঃ আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

– খাবার আগে ও মলত্যাগ করার পর হাত ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি।

– অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড, কাঁচি, ক্ষুর ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

– স্যালুনে যথাসম্ভব সেভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

– ইনজেকশনের জন্য নতুন ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা স্বাস্থ্য সম্মত।

– অন্যের শরীর থেকে রক্ত গ্রহণের আগে সেই রক্ত ভাইরাসমুক্ত কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

– হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে।

– কখনো হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে।

– সময়মতো হেপাটাইটিস এর টিকা গ্রহণ করলে নিরাপদ থাকা যাবে।

অসুখ ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − two =