গ্রীষ্মকালের সবচাইতে যন্ত্রণাকর বিষয় হচ্ছে প্রচণ্ড কড়া রোদ। ঠিক মতো ঢেকে এই রোদে বের না হলে রোদে পুড়ে কালচে দাগ বসে যায় ত্বকে। কিন্তু একটু বেশি ঢাকা কাপড় পড়েও নিস্তার নেই গরমের হাত থেকে। অনেকেই ছোটো হাতার পোশাক পড়েন এবং পায়ে পড়েন স্যান্ডেল, যার কারণে হাত পায়ের অবস্থা একেবারেই শোচনীয় হয়ে যায় গ্রীষ্মকালে। মুখের ত্বকের সাথে একবারেই মেলানো যায় না। দেখতেও বেশ বিশ্রী লাগে। বেশি দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই, খুব সহজেই ঘরে বসে সামান্য একটু সময় বের করে হাত-পায়ের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পেতে পারেন। আজকে শিখে নিন খুব সহজ পদ্ধতিগুলো।
১) বেসন ও হলুদের প্যাক
শুধু মুখের ত্বক ফর্সা করার পেছনে সময় নষ্ট করলে চলবে না। একই সাথে হাত ও পায়ের দিকেও সমান নজর দিতে হবে। বিশেষ করে এই গ্রীষ্মকালে।
প্যাক তৈরি ও ব্যবহারবিধিঃ
সমপরিমাণ বেসন ও হলুদগুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে প্রয়োজনমতো দুধ দিয়ে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করে ফেলুন। এই পেস্টটি হাত ও পায়ের ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সামান্য পানি দিয়ে অল্প ঘষে ঘষে প্যাকটি তুলে ফেলুন এবং ভালো করে হাত-পা ধুয়ে নিন। হলুদের দাগ যদি না যায় তাহলে তুলোতে মেকআপ রিমুভার দিয়ে হলুদের দাগ দূর করে নিন। এরপর আরেকবার ভালো করে ধুয়ে ময়েসচারাইজার লাগান ত্বকে। সপ্তাহে মাত্র ২ বার ব্যবহারেই হাত-পায়ের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পাবেন।
২) মধু ও দুধের প্যাক
অনেকেই শুধুমাত্র মুখের ত্বকের পেছনে অর্থ ব্যয় করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু যদি মুখের ত্বক হাত-পায়ের ত্বকের সাথে না মেলে তাহলে কিন্তু আপনিই বিব্রত হবেন।
প্যাক তৈরি ও ব্যবহারবিধিঃ
১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভালো করে মিশ্রণটি হাত ও পায়ের ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রেখে একটু শুকিয়ে উঠলে সামান্য লিক্যুইড দুধে আঙুল ভিজিয়ে স্ক্রাবারের মতো ত্বক স্ক্রাব করতে থাকুন ৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ভালো করে। কোনো ময়েসচারাইজার বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে হবে না। এই পাক্তির সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে ১ দিন পরপর ব্যবহারের অভ্যাস করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা নিজেই টের পাবেন।