হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা

0
268
হাঁটার উপকারিতা

ব্যস্ত জীবনের শিকল ছিঁড়ে একদিন অন্তত শরীরের দিকে নজর দেওয়া যেতেই পারে। আর শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে হাঁটার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন কম করে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে একাধিক রোগ দূরে থাকে। আর যদি বলেন হাতে এই ২০ মিনিটস সময় নেই। তাহলে তো বলতে হয় আপনার বাঁচার ইচ্ছাটাই নেই।

হাঁটলে শরীরের যে উপকার হয় চলুন জেনে নেয়া যাক সে ব্যাপারেঃ

১। মন খুশি খুশি হয়ে যায়ঃ একাধিক গবেষণায় ইতিমধ্যেই এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, হলকা চালে কয়েক মিনিট হাঁটলেই মন ভাল হয়ে যায়। আসলে হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মন খারাপকে আনন্দে বদলে দেয়।

২। এনার্জি বৃদ্ধি পায়ঃ ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার তত্ত্বাবধানে হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যদি সারা দিনের যে কোনও সময় ২০ মিনিট হাঁটলে সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে এনার্জির ঘাটতি কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার মত সমস্যায় আর ভুগতে হয় না।

৩। হার্ট ভাল রাখেঃ চিকিৎসকদের মতে সারা দিনে ২০ মিনিট হাঁটলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৮ শতাংশে কমে যায়। আর হার্ট ডিজিজের কারণে অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা প্রায় ১৮-২০ শতাংশ কমে যায়।

৪। আয়ু বৃদ্ধি পায়ঃ প্রতিদিন ঘাম ঝড়িয়ে হাঁটতে হবে না, হলকা চালে একটু এদিক সেদিক হাঁটলেই উপকার মিলবে। সেই সঙ্গে শরীরে সচলতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায়।

৫। ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা করেঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লাঞ্চ এবং ডিনারের পর নিয়ম করে যদি হাঁটার অভ্যাস করলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না।

আরও পড়ুনঃ   আয়ু বৃদ্ধি পায় ৩০ মিনিট হাঁটলেই!

৬। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ স্মৃতিশক্তি কার কতটা শক্তিশালী হবে, তা নির্ভর করে তার মস্তিষ্কের হিপোকম্পাস অংশের উপর। প্রতিদিন হাঁটলে হিপোকম্পাসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তি এবং মনে রাখার ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৭। ওজন হ্রাস পায়ঃ যদি প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করেন তাহলে পেটের চর্বি বা ভিসারেল ফ্যাট কমতে শুরু দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের অন্য জায়গায় জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও কমে যায়। ফলে সার্বিকভাবে ওজন হ্রাস পায়।

একটু হাঁটলেই হাঁপিয়ে উঠছেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + 18 =