শিশুকে যখন যা খাওয়াবেন?

0
284

প্রিয় সোনামনিকে কখন কি খাওয়াবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তবে জন্মের পর থেকে শিশুর প্রথম ও আদর্শ খাবার হলো মায়ের বুকের দুধ। কিন্তু ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুর বাড়ন্ত শরীরে পুষ্টি চাহিদা মেটাতে যোগ করতে হয় বাড়তি খাবার।

প্রথম ছয় মাস: জন্মের প্রথম দিন থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকাশের জন্য বুকের দুধই যথেষ্ট। ছয় মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে বাড়তি খাবার দেওয়া শুরু করা প্রয়োজন।

ছয় মাস পর: মায়ের দুধের পাশাপাশি ডাল-চাল বা সবজি দিয়ে খিচুড়িসহ শিশুর মুখরোচক নানা রকম পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়। তবে এসব খাবারে বাড়তি ঝাল-মসলা ও শক্ত জিনিস যোগ হলে শিশুর হজমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই এসব খাবার প্রস্তুতের জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। বাড়তি খাবারের মধ্যে প্রথমে চালের গুঁড়ার সুজি দেওয়া যেতে পারে। যদি তাতে শিশুটির কোনো অসুবিধা না হয়, তবে ধীরে ধীরে সুজি থেকে খিচুড়ি শুরু করতে হবে।

প্রথম খিচুড়ি: শিশুর খিচুড়ি প্রথমে চাল, ডাল ও তেল দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে তাতে সবজি যোগ করতে হবে। এক বছরের আগের শিশুকে গাজর, আলু, পেঁপে ইত্যাদি নরম সবজি দেওয়া যেতে পারে। খিচুড়িতে অভ্যস্ত শিশুকে ধীরে ধীরে মাছ-মাংস খাওয়ানো শুরু করা যেতে পারে।

প্রোটিন: প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য সাধারণত নরম কাঁটা ছাড়া মাছ, মুরগির মাংস, মুরগির স্যুপ, ডালের পানি ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোলা যাবে না বাড়তি খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধও চলবে, যা শিশুর প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস।

ফল: ফলের মধ্যে সাধারণত নরম পাকা কলা, পাকা আম ও কমলার রস দেওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ফল বা একসঙ্গে অনেক ফল খাওয়ানো ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে একটি ফলে অভ্যস্ত করে আরেকটি ফল খাওয়ানো ভালো।

আরও পড়ুনঃ   শিশুদের আঙুল চোষা কি ভাল অভ্যাস? গবেষকরা কী বলছেন ?

সম্পাদনা: ইমন

গর্ভাবস্থায় এই পানীয়গুলো মা ও শিশুর জন্য সমান উপকারী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × 2 =