প্রাচীনকাল থেকেই রান্নার কাজে ও চিকিত্সা শাস্ত্রে এই তেল ব্যবহূত হয়ে আসছে। বিজ্ঞানীদের ভাষ্যে, জলপাই তেলে এমন উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এবার জেনে নেয়া যাক অলিভ অয়েলের কিছু ভিন্ন ব্যবহার।স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও রূপচর্চায় অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেলের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে যেমনঃ
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর তুলাতে সামান্য অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন তারপর একটি শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। গোসল করার পর সামান্য পানির সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন তারপর সারা শরীরে ম্যাসেজ করুন। দারুণ ময়েসচারাইজারের কাজ করবে।
জলপাইয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় এটি।
হাড়ের ক্ষয়রোধে
অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল, যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যথাজনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কপালে, চোখের পাশে ও নিচে চামড়ায় হালকা ভাঁজ দেখা দেয়। এই বলিরেখা দূর করতে ২ চামচ অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য এলোভেরা অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ওজন কমাতে
শরীরের ওজন কমাতে আপনি অলিভ অয়েল খেতেও পারেন। সকালে নাস্তার আগে ২ চামচ অলিভ ওয়েল খেয়ে নিন, এতে আপনার হজম শক্তি বাড়বে। এবং নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ওজন কমতে সহায়তা করবে।
মেকআপের সময়
নারীরা যখন সাজসজ্জা করেন তখন অনেকেই ফেইস মেকআপ এর জন্য ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি ফাউণ্ডেশন মুখে দেয়ার আগে তাতে ১-২ ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে দেন, তাহলে ফাউণ্ডেশন দেয়ার পর আপনার ত্বক খুব উজ্জ্বল দেখাবে। তবে এটা কেবল শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রযোজ্য।
মেকআপ পরিষ্কার করতে
আমরা অনেকেই মুখ থেকে মেকআপ তুলতে রীতিমত ত্বকের সাথে যুদ্ধ করি। কিন্তু অলিভ অয়েল দিয়ে খুব সহজেই মুখের সমস্ত মেকআপ তুলে নেয়া যায়। তাই যখন মেকআপ তুলবেন তখন কটন বল নিয়ে তাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন, দেখবেন সমস্ত মেকআপ উঠে যাবে।
চুলের সৌন্দর্যে
একটি ডিম ও ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালমতো ফেটিয়ে নিন। তারপর পেস্টটি আপনার চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে। শ্যাম্পুর করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো ভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনারের বদলে লাগিয়ে ফেলুন। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সমপরিমাণ জলপাই তেল আর বাদামের তেল একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ৩ সপ্তাহ করলে খুশকি অনেকটা কমে আসবে।
ঠোঁটের যত্নে
লিপবাম, ভেসলিনের বদলে ঠোঁটে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়। রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে তারপর অলিভ ওয়েল লাগান। লিপস্টিক লাগানোর আগেও সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে নিলে ঠোঁট নরম থাকবে।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার অতুলনীয়। পায়ের যত্নে ১ চামচ লবণ নিয়ে তাতে পরিমাণমতো অলিভ ওয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে পায়ে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফল পাবেন।
নখের যত্নে
ভঙ্গুর নখ এবং নখের চামড়ার বাইরের স্তর সুস্থ, সুন্দর এবং কোমল রাখার জন্যও অলিভ অয়েল আদর্শ। কয়েক ফোঁটা একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হাতের আঙুলে নিয়ে নখের উপরে এবং চারপাশের কিউটিকলে ভালোভাবে মালিশ করলে নখ শক্ত ও উজ্জ্বল হয়। পাশাপাশি নখের চারপাশ থাকবে নরম এবং আর্দ্র। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।