আটার রুটির চেয়ে আমরা ইদানিং রিফাইন করা ময়দার রুটি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে রিফাইন করা ময়দা বিভিন্ন ধাপে আমাদের খাওয়ার উপযুক্ত হয় বলে এর স্বাস্থ্যকর গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। অপরপক্ষে লাল আটার রুটিতে ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে বলে তা আমাদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
শরীর সুস্থ রাখতে রুটি খাওয়ার বিকল্প নেই। রুটিতে রয়েছে এখাধিক পুষ্টিগুণ যা হার্ট ভালো রাখে। গমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ই, সিলিকন, ক্লোরিন, সালফার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়োডিন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ক্যালসিয়াম এবং প্রাকৃতিক লবণ রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
গমের আটায় ফ্যাট থাকে না বলে এটি হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের সুগারের মাত্রা বাড়তে দেয় না। এছাড়াও রুটিতে প্রচুর পরিমাণে বি১, ব২, ব৩, ব৬ এবং ব৯ থাকে যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
জেনে নিন প্রতিরাতে রুটি খাওয়া উপকারিতা-
খনিজের ঘাটতি পূরণ করে
শরীরকে সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিন এবং খনিজের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন পরে, সেগুলি সবই রয়েছে রুটিতে। তাই তো রাতে হোক কী দিনে রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমিয়ে দেয়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রুটি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝড়তে শুরু করে। ফলে নিমেষে ওজন কমে। আর্থাৎ রাতে রুটি খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টে কমতে শুরু করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
রুটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং বদ-হজমের মতো সমস্যাও কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, তুল্য মূল্য বিচার করে দেখা গেছে রাতে ভাত এবং রুটির মধ্যে রুটি তাড়াতাড়ি হজম হয়। ফলে বদ-হজমের আশঙ্কা কমে।
শরীরের এনার্জির মাত্রা বেড়ে যাবে:
রাতেরুটি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর করে শরীরে এনার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শরীরে এনার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
রুটিরে ভাত বা অন্যান্য খাবারের তুলনায় ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে বিধায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে ফলে ওজন বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।
রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে:
যাদের পরিবারে ডায়াবেটিকস এর ইতিহাস আছে তারা রুটি খেতে পারেন। প্রতিরাতে রুটি খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে প্রেসার বেড়ে যাওয়া এবং হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
রুটিতে উপস্থিত ফাইবার এবং সেলেনিয়াম ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভুমিকা পালন করেন। তাই ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে রুটি খাওয়া উচিৎ।
ত্বকের জন্য উপকারী:
রুটিতে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে, যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে রুটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।