মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান উপাদান রক্ত। শরীরের মোট ওজনের শতকরা ৭ ভাগ রক্ত, যার ৯২ ভাগই জলীয় পদার্থ। ৩২টি ভিন্ন ভিন্ন বিভাজন থাকলেও ব্যবহারিক দিক থেকে রক্তকে প্রধানত ‘এ’, ‘বি’ ‘ও’ এবং ‘আরএইচডি’ এন্টিজেন এই দু’টি উপায়ে ভাগ করা হয়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া মানুষের রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয় না।
ব্লাড গ্রুপ বলে দিবে আপনার যে রোগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এত দিন রক্তের গ্রুপ পজিটিভ না নেগেটিভ সেই নিয়েই বেশি মাথা ঘামাতো মানুষ। বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ ম্যাচিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারণ এর সঠিক ম্যাচিংয়ের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থতা। এছাড়া যদি হয় ‘ও’ নেগেটিভ। তাহলে তো বড় অসুখ সহজেই হামলা করে বসতে পারে। তাই ’ও’ নেগেটিভ গ্রুপের মানুষকে আগে থেকেই অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হয়।
তবে শুধু নেগেটিভ বা পজেটিভ নয়, ‘এ’, ‘বি’, ‘ও’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের ওপরও নির্ভর করে নানা রোগের ধরণ ও প্রবণতা। আসুন জেনে নিই কোন গ্রুপের রক্তবহনকারীকে কোন কোন রোগ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
হার্টের রোগ: ‘ও’ রক্তের গ্রুপের মানুষ এই সমস্যা থেকে দূরেই থাকবে। তবে ‘বি’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের মানুষের হার্টের রোগ হবার সম্ভাবনা প্রবল।
আলসার: যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ বা নেগেটিভ তাদের আলসার হবার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়া তাদের পেটের সমস্যা লেগেই থাকে।
গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার: শুধুমাত্র ‘ও’ রক্তের গ্রুপ ছাড়া বাকি সব রক্তের গ্রুপ এর গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার হবার সম্ভাবনা প্রবল। তবে এক্ষেত্রে ‘এ’ রক্তের গ্রুপের মানুষের এই সমস্যা তাড়া করবে বেশি।
প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার: আবারও ‘ও’ রক্তের গ্রুপের মানুষের এই রোগ হবার আশংকা প্রবল। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপের রক্তের ৩২ শতাংশ এবং ‘এবি’ রক্তের গ্রুপের মানুষের ৫১ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে।