যে ১১টি গাছ বেডরুমে রাখলে ভালো ঘুম হয়

0
827
বেডরুমে গাছ

বেডরুমে গাছপালা রাখা উচিত কি না এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ কেউ মনে করে শোওয়ার ঘরে গাছপালা রাখা বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ রাতের বেলা গাছ থেকে কার্বোন ডাইঅক্সাইড বেরোয় আর অক্সিজেন অ্যাবজর্ব করে। রিসার্চ কিন্তু অন্য কথা বলে। দেখা গেছে যে পরিমাণ কার্বোন ডাইঅক্সাইড বেরোয় আর অক্সিজেন নেয় তা এতটাই কম যে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না।

সত্যি কথা বলতেূ বাড়িতে গাছপালা রাখা বেশ ভালো। কারণ এরা ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখে। দেখা গেছে হাউজ প্ল্যান্টস মাইক্রো অরগ্যানিজম ছাড়ে যা দূষণ কমায়ূ জার্ম মেরে ফ্যালে আর জলীয় বাস্প ছাড়ে। এমনকী দেখা গেছে এমন কিছু গাছ আছে যা বেডরুমে রাখলে ভালো ঘুম হয়। আজকে রইলো সেরকমই পাঁচটা গাছের হদিস যা আপনাকে সহজেই ঘুম পাড়িয়ে দেবে এবং একই সঙ্গে গভীরভাবে ঘুমোতে সাহায্য করবে।

আইভি: নাসার বৈজ্ঞানিকদের মতে, প্রত্যেকটি ঘরে এ গাছ রাখা উচিত। কারণ ঘরের বাতাসের ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে ঘরে আনার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে।

ফিকাস: খুব ভালো বাতাস পরিষ্কার করতে পারে। বিশেষত, বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় এবং টাটকা বাতাসের জোগান দিতে থাকে। খুব একটা আলো বা জলের প্রয়োজন হয় না। তবে এখটি ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরে যদি ছোট বাচ্চা বা পোষ্য থাকে, তাদের থেকে গাছটিকে দূরে রাখবেন। কারণ এ গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।

ল্যাভেন্ডার: ল্যাভেন্ডার শরীর রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমায় আর হার্ট রেট কমিয়ে দেয়। এছাড়াও শরীরে স্ট্রেস হর্মোন পড়ৎঃরংড়ষ কমাতেও সাহায্য করে। একই সঙ্গে রক্ত চলাচলেরও উন্নতি ঘটায়। এমনকি দেখা গেছে এই গাছ বাচ্চাদেরও দ্রুত ঘুমিয় পড়তে সাহায্য করে।

জেসমিন: জেসমিন বা জুঁই ফুল ডিপ্রেশন কমায়ূ শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং উৎকন্ঠা কমায়। এছাড়াও দেখা গেছে জুঁই ফুলের গন্ধে গভীর ঘুম আসে। তবে জুঁই ফুলের গাছ খুব দ্রুত বাড়ে তাই মাঝে মধ্যেই কিন্তু এই গাছ ছেঁটে দিতে হবে। একই সঙ্গে রোজ ২-৩ ঘন্টা রোদেও রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   কোন বয়সে কত ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন?

রোজমেরি: বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এই হার্বের ব্যবহার হয় । কিন্তু অনেকেই জানে না রোজমেরি আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তেও সাহায্য করে। এছাড়াও দেখা গেছে রোজমেরি নার্ভাস সিস্টেমূ হার্ট ভালো রাখতেও সাহয্য করে। এখানেই শেষ নয়ূ স্ট্রেস কমানোতেও জুড়ি নেই রোজমেরির।

স্নেক প্ল্যান্ট: খুব সহজেই এই গাছ পাওয়া যায়। নাম শুনে অবশ্য ভয় পাবেন না। এই গাছ ঘরের মধ্যে ক্ষতিকারক টক্সিন তাড়াতে সাহায্য করে । এছাড়াও এই গাছ রাতের বেলা কার্বন ডাই অক্সাইড নেয় আর অক্সিজেন ছাড়ে। যাদের অ্যালার্জি হয়েছে বা যাদের ব্রিদিং ট্রাবল আছে তাদের জন্য বিশেষ করে এই গাছ খুব ভালো।

স্পাইডার প্ল্যান্ট: স্ন্যেক প্ল্যান্টের মতই স্পাইডার প্ল্যান্ট ঘরের মধ্যে থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও বাতাস পরিষ্কার রাখে এবং বাতাস  ডিটক্সও করে দেয়। এছাড়াও এই গাছ অপ্রীতিকর গন্ধ অ্যাবজর্ব করতে পারে।

  • পিস লিলি

বাতাসে একধরনের ছত্রাক থাকে, যা শ্বাস নেওয়ার সময় নাকে ঢুকে যায়। আর, নাকের স্বাভাবিক ফিল্টারিং ক্ষমতাকে ব্যাহত করে। ক্ষতি করে ফুসফুসেরও। ফলে, ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। পিস লিলি এই ছত্রাককে দূর করে। বেডরুমে পিস লিলি রাখলে ৬০% পর্যন্ত বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। এই গাছ অ্যালকোহল বা ওই জাতীয় পদার্থের গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে, ঘুম আসে সহজেই।

  • অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার অনেক গুণ। তারমধ্যে অন্যতম হল বাতাসকে পরিশোধন করা। NASA স্বীকৃত সবচেয়ে কার্যকরী বায়ু পরিশোধক এটি। তাছাড়া, অ্যালোভেরা বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে ঘুম ভালো হয়।

  • ব্যাম্বু পাম

রাসায়নিকযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার না করে ঘরে রাখতে পারেন এই গাছ। বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থকে দূর করে আপনাকে এনে দেয় শান্তির ঘুম।

  • মানি প্ল্যান্ট

বাড়িতে সহজেই বাঁচিয়ে রাখা যায় এই গাছ। খুব একটা যত্নের প্রয়োজন হয় না। কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ফর্ম্যালডিহাইডের মতো দূষক পদার্থকে দূর করে ঘরের ভিতরের বাতাসকে দূষণমুক্ত করে। আর, আরামে ঘুমোতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ   রাতে ঘুম হয়না?

চোখে ঘুম নেই? জেনে নিন কৌশল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 + one =