যে ফলগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে

0
591
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি প্রায়ই হয় এবং ব্যথা ও রক্তপাত হয় তাহলে আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে তোলার জন্য অনেক বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এমন কিছু ফল আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন তাহলে সে ফলগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

১। বেল 

বেল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। স্টুল নরম হওয়া ও আন্ত্রিক চলন ঠিক রাখার জন্য ল্যাক্সেটিভ উপাদান ব্যবহৃত হয়। দুই দিন অন্তর অন্তর ১ গ্লাস করে বেলের শরবত পান করুন। এটি দীর্ঘ মেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে এবং পরিপাকেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদ নেহা চন্দনা এমনটাই বলেন। কদবেলও খেতে পারেন।

২। কিউই

২০১০ সালে তাইওয়ানের একদল গবেষকের করা গবেষণা রিপোর্টে জানা যায় যে, কিউই শুধুমাত্র বাওয়েল ফাংশনের উন্নতিই করেনা কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গগুলোকে কমতেও সাহায্য করে। বিশেষ করে ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোমে যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে উন্নতি দেখা যায়। চার সপ্তাহ পরে রোগীর স্টুল খুব সহজে দেহ থেকে বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে এবং টয়লেটে কম সময় কাটাতে হয়।

৩। কাঁচা পেঁপে

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনার খাওয়ার মেন্যুতে কাঁচা পেঁপে সংযুক্ত করুন। প্রতিদিন কাঁচা পেঁপে লবণ ও লেবু মিশিয়ে খান। পেঁপের উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং শক্তিশালী ডাইজেস্টিভ এনজাইমের মিশ্রণ কোলন পরিস্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। তবে প্রেগন্যান্ট নারীদের কাঁচা পেঁপে খাওয়া উচিৎ নয়।

৪। বরই

দৈনিক ২-৩ টি বরই খান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত হতে। পেট পরিস্কার করতে ও দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করতে সাহায্য করে বরই। এর কারণ বরই এ উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে।

আরও পড়ুনঃ   রোজা রাখার কি কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে?

৫। এপ্রিকট

১০০ গ্রাম এপ্রিকটে ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী। দৈনিক ৩-৪ টি এপ্রিকট খেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সেই সাথে আপনার পানি গ্রহণের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে হবে।

৬। জাম জাতীয় ফল

জাম, স্ট্রবেরি এই ফলগুলো উচ্চমাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ। এক কাপ তাজা স্ট্রবেরিতে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে এবং জামে থাকে ৩.৮ গ্রাম ফাইবার। এছারাও এই ফলগুলোর ক্যালরির মাত্রা খুব কম থাকে।

৭। শুকনো ফল

শুকনো ফল যেমন- খেজুর, ডুমুর, আলুবোখারা, কিশমিশ ইত্যাদিতে ফাইবার থাকে যা কনস্টিপেশন নিরাময়ে সাহায্য করে। বিশেষ করে আলুবোখারায় ফাইবার থাকার পাশাপাশি সরবিটল ও থাকে যা প্রাকৃতিক লেক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফাইবারের মত সরবিটল ও এক ধরণের শর্করা যার আনবিক গঠন চিনির মতই। এই ফাইবার হজম হয়না কিন্তু এটি যখন অন্ত্রের ভেতর দিয়ে যায় তখন পানি ধারণ করে এবং মলকে নরম করে। যার ফলে কনস্টিপেশন দূর হতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ১ কাপ পেয়ারাতে ৮.৯০ গ্রাম, আপেলে ৩.৩ গ্রাম, কমলায় ৪.৩০ গ্রাম, নাশপাতিতে ৪ গ্রাম, কলায় ৩.৯০ গ্রাম, আমে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে।

প্রিয়.কম

লেখাটি ভাললাগলে কিংবা উপকারে আসলে শেয়ার করে অপরকে জানান।

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 4 =