যেভাবে বুঝবেন খাবারে অ্যালার্জি আছে, থাকলে করণীয়

0
755
খাবারে অ্যালার্জি

অ্যালার্জি বলতে পরিবেশে অবস্থিত কতকগুলো বস্তুর প্রতি শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ তন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতার ফলে সৃষ্ট কতকগুলো অবস্থাকে বুঝায় যা অধিকাংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো সমস্যা তৈরি করে না। এই অবস্থাগুলোকে একত্রে অ্যালার্জি জনিত রোগ বলে। এগুলোর মধ্যে হেই ফিভার, খাদ্য অ্যালার্জি, অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জিক হাঁপানি উল্লেখযোগ্য।

একেকজনের একেক খাবারে এলার্জি থাকে। কারো দুধ খেলে পেট খারাপ হয়ে যায়। কারো বেগুনে মুখ চুলকায়। কারো আবার পুঁইশাকে গা চুলকায়। এগুলোকে বলে ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি। অ্যালার্জি থাকলে কেবল বেগুন, চিংড়ি বা গরুর মাংস একেবারে বাদ দিতে হবে—এমন ধারণা ভুল। কেননা একেজনের একেক ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে।

দুধ :
শিশুদের দুধে অ্যালার্জি বেশি হয়। একে বলে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। দুধে যে ল্যাকটোজ নামের উপাদান থাকে তা হজম করার উৎসেচকে সমস্যা থাকে বলেই এমন হয়।

শস্য :
যব, ভুট্টা, ওট, ময়দা ইত্যাদি খাবারে গ্লুটেন থাকে, আর অনেকেরই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। এছাড়া সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীরা গ্লুটেন খেতে পারেন না।

ডিম :
ডিমে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। ডিমের আমিষ অংশ খেলে অনেকের প্রতিক্রিয়া হয়, চোখ লাল হতে পারে, ত্বকে চুলকানি হতে পারে। খুব ছোট শিশুদের ডিম না দেয়াই ভালো।

মাছ :
সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ইলিশ, স্কুইড ইত্যাদিতে অ্যালার্জি হয় বেশি। সবারই চিংড়ি বা ইলিশ খাওয়া নিষেধ তা নয়। যাদের এসব খাবার খেলে প্রতিক্রিয়া হয় শুধু তারাই বাদ দেবেন।

বাদাম ও বীজ :
বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারেও অনেকের অ্যালার্জি হয়। এগুলোও আমিষজাতীয় খাবার। তাই ইমিউন সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে বেশি।

কীভাবে বুঝবেন অ্যালার্জি?
যদি একই ধরনের খাবার খেয়ে আপনার ত্বক ও মুখ জিবে চুলকানি, র‍্যাশ, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, শুকনো কাশি, পেট কামড়ানো বা ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দেয় তবে বুঝবেন ওই খাবারে আপনার অ্যালার্জি আছে। অনেক সময় খুব তীব্র অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে। সাধারণত পরিবারেও অ্যালার্জির ইতিহাস থাকে।

আরও পড়ুনঃ   ভুলেও খালি পেটে খাবেন না যেসব খাবার

কী করবেন :
সহজ উপায় হলো ওই খাবারটি এড়িয়ে চলা। বাড়িতে তা সহজ, কিন্তু রেস্তোরাঁয় বা কেনা অনেক খাবারে এই উপাদান লুকিয়ে থাকতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো।

—– জে এস

চিনি কম খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − two =