হাতেগোনা কয়েকজনকে বাদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সবাই দুইবেলা ভাত খান। পুষ্টিগুণ, ডায়েট— সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের কাছে কমফর্ট ফুড। কিন্তু ভাত যতই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন, রান্নার পদ্ধতির কারণে তা বিষে পরিণত হতে পারে। ভাত রান্নায় এত বড় ভুল করেন? মৃত্যু কিন্তু কড়া নাড়ছে! – স্রেফ চাল সেদ্ধ করেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে ভাত। প্রতিদিন সেই ভাত খাচ্ছেনও। অথচ আপনি জানেনও না যে, প্রতিদিন অল্প অল্প করে আপনার কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে।
কি, বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তবে এটাই সত্যি। ভুল পদ্ধতিতে ভাত খাওয়ার ফলে আপনার দেহে প্রবেশ করছে বিষ। অলক্ষে শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ব্রিটেনের কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের গবেষকদের গবেষণায়।
তাঁরা জানাচ্ছেন, চাষের কাজে বহু কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। তাই রান্না করার আগে খুব ভাল করে চাল না ধুয়ে রান্না করলে মারাত্বক বিষ প্রবেশ করে শরীরে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই বিষ রোধ করা একেবারেই সম্ভব নয়। তবে এর প্রভাব কমানো যেতে পারে। তাই রান্না করার আগে সারা রাত চাল ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, সারা রাত চাল ভিজিয়ে রাখলে রাসায়নিক, টক্সিন এবং আর্সেনিকের মাত্রা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সম্প্রতি তাঁদের এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
তাদের গবেষণা অনুযায়ী, সাধারণত আমরা ভাত রান্না করার সময় পানি পুরো শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করি। এর ফলে চালে থাকা আর্সেনিক পুরো মাত্রায় বজায় থাকে। তাই এভাবে রান্না করা ভাত আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
বিষমুক্ত ভাত খেতে তাই সারা রাত চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফলে চালে আর্সেনিকের মাত্রা কমে যাবে। সকালে চালের পানি ঝরিয়ে আরও এক বার টাটকা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
এক কাপ চালে অন্তত ৫ কাপ পানি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে ভাত রান্না করে করতে হবে। বেশি করে পানি দিতে হবে যাতে কখনই ভাতের পানি শুকিয়ে না যায়। ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে আরও এক বার ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় কিছুটা বেশি লাগলেও এই ভাবে রান্না করা ভাত খেলে শরীরে অনেক কম মাত্রায় আর্সেনিক প্রবেশ করে। তাই বিষমুক্ত খাবার খেতে এটুকু কষ্টতো করা যেতেই পারে।
ফ্রিজে রাখা পাউরুটি খেলে যে সমস্যা হয়