উচ্চ রক্তচাপ বা (HBP, Hypertension) কে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। কারণ হাই ব্লাড প্রেশারের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর ফলে ধীরে ধীরে শরীরের দেহকোষের ক্ষতিহয় যার ফলে সিরিয়াস হেলথ ইস্যু হতে পারে। হাই ব্লাড প্রেশারের থেকে নিরাময় পাওয়া মুশকিল। তবে ওষুধপত্র ঠিকমত ব্যবহার করে আমরা এই ‘সাইলেন্ট কিলার’ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি এবং হার্ট ডিজিজ‚ স্ট্রোক বা কিডনি ডিজিজের রিস্ক কমাতে পারি। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটা পরিবর্তন করতে হবে। সেগুলো হলো-
১। ওয়েল ব্যালেন্সডঃ ফল‚ সবজি‚ লো ফ্যাট ডেয়ারী প্রডাক্ট‚ স্কিনলেস চিকেন আর মাছ‚ বিভিন্ন ধরণের বাদাম, এইসব নিজের ডায়েটে যোগ করুন। স্যাচুরেটেড আর ট্রান্স ফ্যাট‚ সোডিয়াম‚ রেড মিট‚ মিষ্টি এবং চিনি মেশানো পানীয় যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন।
২। মদ্যপানের পরিমাণ কমানঃ উচ্চ পরিমাণে মদ্যপান ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ আছে তাহলে যতটা পারবেন মদ এড়িয়ে চলুন। শোনা যায় রেড ওয়াইন নাকি হার্টের জন্য ভালো। এটা কিন্তু মিথ ছাড়া কিছুই নয়। তাই সুস্থ থাকতে মদ ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুনঃ নিয়মিত ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এছাড়াও আপনার শরীরের ওয়েট ঠিক থাকবে‚ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে‚ এবং আপনার হার্ট মজবুত হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ করুন (দ্রুত হাঁটা‚ সাঁতার কাটা‚ দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো )।
৪। সঠিক ওয়েট বজায় রাখুনঃ অল্প একটু ওজন কমলেও কিন্তু তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সঠিক ডায়েট এবং নিয়মিত শারীরিক কসরতের ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পুরুষদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ যদি ৩৬ ইঞ্চির বেশি হয় এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ৩৪ ইঞ্চির বেশি হয় তাহলে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
৫। নিয়মিত চেক আপ করানঃ নিয়মিত ব্লাড প্রেশার চেক করান‚ যদি উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি এখনো হাই ব্লাড প্রেশার না হয়ে থাকে তাহলে কী করে একে দূরে রাখা যায় সেগুলো জানুন। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে ভয় পাবেন না। আগেই বলেছি সঠিক ওষুধ এবং লাইফস্টাইলের সাহায্য আপনি এই ‘সাইলেন্ট কিলার‘কে দূর করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়
