হাঁচি দেয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। যদিও আমাদের কাছে এই ব্যাপার গুলো অনাকাংক্ষিত। যেমন ধরেন অফিসে বস কোন জরুরি মিটিং কিংবা কোন প্রজেক্টে অথবা অফিসিয়াল ডিনারে, আপনি একের পর এক হাঁচি দিচ্ছেন ব্যাপারটা খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু এই হাঁচি কেন হয়?
হাচি হল আমাদের respiratory tract (শ্বাস যন্ত্রের)এর অনেক গুলো প্রতিরক্ষা কবচের একটি। আমাদের শরিরের জন্য অনাকাংক্ষিত কোন বস্তু কনা বা জৈব কনা, যখন আমাদের শ্বাস যন্ত্রের উপরিভাগে ডুকে পড়ে, তখন তা বের করে দেবার জন্য, আমাদের শ্বাসযন্ত্র খুবি স্বমন্নিত প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমানে বাতাস ফুসফুসে ঢুকিয়ে তা প্রবল বেগে বের করে দেয়, যেন এই প্রবল বেগে বাতাস বেরিয়ে যাবার সময় ঐ অনাকাংক্ষিত কনাটি সহ বারিয়ে যায়।
হাচি আটকান কি উচিত নাকি উচিত না এই বিষয়ে অনেক কথাই আছে। যেহেতু শরিরকে স্বার্বিক ভাবে সুস্থ রাখবার অন্যতম সহায়ক প্রক্রিয়া হল এই হাচি, তাই স্বাভাবিক ভাবে হাচি আটকান উচিত নয়। কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে হাচি একেবারেই দেয়ে উচিত নয়। যেমনঃ
১। মল ত্যাগের সময়
২। মুত্র ত্যাগের সময়
সম্ভব হলে এই সময় গুলোতে অবশ্যই হাচি আটকাতে হবে নইলে জটিল বেদনাদায়ক শারিরিক সমস্যার তৈরি হতে পারে।
হাঁচি কিভাবে আটকাবেন?
হাঁচি যাদের অসুখ পর্যায় চলে গিয়েছে তাদের ডাক্তারের অনুমতি পূর্বক ঔষধ সেবন জরুরি। কিন্তু হঠাৎ অনাকাংক্ষিত হাঁচি কিভাবে আটকাবেন সেটা জানা থাকা জরুরি। আমাদের উপরের ঠোটের মাঝ খানে খাজকাটা যে অংশটা আছে তাতে এক আঙ্গুলদিয়ে চেপে ধরবেন হাচি আটকে যাবে। এই উপরের ঠোটের খাজ টাকে আমরা বলি philtrum যার নিচে থাকে depressor septi neris নামক একটি muscle, আর এই muscle টিতে চাপ লাগলেই হাচিটা থেমে যায়।
হাঁচি কমাতে দুই উপাদান
ঠান্ডা লাগলে অনেক সময় টানা হাঁচি হতে থাকে। এটি বেশ অস্বস্তির হয়ে পড়ে। খুব বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তবে এর আগে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন।
হাঁচি কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
রসুন
রসুন আপার রেসপেরিটরির সংক্রমণ কমাতে বেশ উপকারী। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। রসুন ঠান্ডার কারণে হওয়া হাঁচি কমাতে কার্যকর।
- পাঁচটি রসুনের কোয়া থেঁতলে নিন। এর গন্ধ নিন। এটি নাসারন্ধ্রকে পরিষ্কার রাখতে কাজ করবে এবং হাঁচি কমাবে।
- এ ছাড়া স্যুপ ও সালাদে রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
আদা
হাঁচি কমাতে আদা আরেকটি ভালো ঘরোয়া উপাদান। ভাইরাসজনিত নাসারন্ধ্রের সমস্যা এবং হাঁচি কমাতে এটি বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- দিনে তিন চা চামচ আদার রস দুবার করে খেলে হাঁচি কমতে সাহায্য হবে।
- এক কাপ পানির মধ্যে ছোট আকারের এক টুকরো আদা নিয়ে সেদ্ধ করুন। এর মধ্যে সামান্য মধু দিয়ে পান করুন।
ঘন ঘন হাঁচি দেয়া প্রতিরোধের উপায়