বাদাম তেলের চমকপ্রদ স্বাস্থ্য উপকারিতা/কাঠ বাদামের ২২টি বিউটি বেনেফিটস!

0
3988
বাদাম তেলের উপকারিতা

বাদাম তেল চুল এবং ত্বকের যত্ন জন্য একটি শ্রেষ্ঠ তেল। এটি শরীরের ত্বকের জন্যেও একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। নিয়মিত বাদাম তেল মাখলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়। পুষ্টি ও শক্তি এ দুটো একসঙ্গে পেতে বেছে নিতে পারেন আমন্ড বা বাদাম তেল। আজ ত্বক ও চুলের পাশাপাশি জেনে নেবো এর আরও কিছু পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা।
১। কাঠবাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এবং প্রদাহ হ্রাস করে।

২। বাদাম তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা । এটি শরীরের শক্তি সঞ্চালন করে। এতে আছে রিবফ্লাবিন, ফসফরাস, কপার, যেটা শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৩। কাঠবাদামে ভিটামিন-ই আছে। ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি সূর্যের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কাঠবাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪। কাঠবাদাম তেল হলো প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল বা প্রিজেরভেটিভ নেই। তাই এই তেল কে সিরাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫। বাদাম তেল দিয়ে মাংসপেশী ম্যাসেজ করলে তা মাংসপেশীর জন্যে চমৎকার কাজ করে। ব্যাথা স্থানে বাদাম তেল ম্যাসেজ করলে হালকা ব্যথা দূর হয়ে যায়।

৬। কাঠবাদামে আছে মনসেচুরেটেড ফ্যাট। এটি শরীরে কলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে শরীরে ভালো কলেস্ট্রল বাড়াতে সাহায্য করে। একটি রিসার্চ এ দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১ টি করে কাঠবাদাম খেয়েছে তাদের কলেস্ট্রল ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন দুটি করে খেয়েছে তাদের কমেছে ৯.৪% ।

৭। কাঠবাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।

৮। কাঠবাদামে রয়েছে চুল বান্ধব মনো ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সঙ্গে ভিটামিন-এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এরা চুল কে পুষ্টি দেয়, চুলকে শক্ত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুল কে সফট, সোজা এবং সিল্কি রাখে।

৯। কাঠবাদাম ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠবাদামের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করলে, ত্বকের বলি রেখা কমবে। তাছাড়া মধু, লেবু, কাঠবাদাম তেল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময় এবং মুখের বয়সের ছাপ কমে যাবে।

ত্বকের যত্নে কাঠবাদামঃ

১। কাঠবাদামে  আছে ভারী ময়েশ্চারাইজার। ভারী হলেও এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক এ যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারে না, তাদের জন্য অনেক উপকারী।

২। কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই। তাই এটি ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়। ত্বকে এ নিয়মমিত তেল দ্বারা মাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বারে, তাতে করে ত্বক সুস্থ থাকে।

আরও পড়ুনঃ   বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে যে খাবার

৩। কাঠ বাদামে আছে ভিটামিন ডি। ছোট শিশুদের এই তেল দিয়ে পুরা দেহ মাসাজ করলে, হাড় মজবুত হয়।

৪। কাঠ বাদামে ভিটামিন ই আছে। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি ত্বক কে সূর্যের হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বক কে ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের ত্বকে সান বার্ন আছে, তারা এটি থেকে পরিত্রাণ পেতে কাঠ বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৫। কাঠ বাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীর শুষে নেয়। তাই যেকোনো সিজনে কাঠবাদাম তেল শরীরে লোশনের পরিবর্তে দেওয়া যাবে।

৬। কাঠ বাদাম তেল হল প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল অথবা প্রিজেরভেটিভ নেই। তাই এই তেল কে সিরাম হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখ পরিষ্কার করে চোখ সহ ,পুরা মুখ ঘড়ির কাটার উলটো দিকে মাসাজ করুন। ফলাফল সরূপ নমনীয় এবং তুলতুলে ত্বক পাবেন। তাছাড়া এটি মুখের লোমগ্রন্থি বন্ধ করে না। তাই ব্রণ হবারও ভয় থাকে না।

৭। কাঠ বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

৮। কাঠ বাদাম তেল চোখের নীচে কালো দাগ দূর করে। তাছাড়া কাঠ বাদাম বেটে, ওই পেস্ট রাতে ঘুমানোর সময় চোখে দিয়ে ঘুমালে, চোখের নীচের কালো দাগ চলে যায়। চোখের বলিরেখা, চোখ ফুলা ভাবও কমে যায়। কাঠ বাদাম চোখের নীচের দাগ দূর করতে যেকোনো ভালো আই ক্রিম এর থেকে ভালো।

৯। কাঠ বাদাম ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদামের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করলে , ত্বকের বলি রেখা কমবে। তাছাড়া মধু, লেবু, কাঠ বাদাম তেল মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময় এবং মুখের বয়সের ছাপ কমে যাবে।

১০। কাঠ বাদাম স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে। কাঠ বাদাম দানা দানা রেখে গুড়ি করে, তার সাথে মধু, এবং টক দই দিয়ে মুখ আলতো আলতো করে মাসাজ করলে, স্ক্রাব এর কাজ হয়ে যাবে।

১১। ভারী মেকাপ তুলতে কাঠ বাদাম তেল সামান্য একটু  নিয়ে পুরা মেকাপ পরিষ্কার করা যাবে।

আপনার কী কাঠবাদাম দরকার? তাহলে বিডি হেলথ কাঠবাদাম কিনুন।

স্বাস্থ্যের যত্নে কাঠ বাদাম তেলঃ

প্রতিদিন ১০ গ্রাম কাঠ বাদাম খেলে, আমরা অনেক অসুখ থেকেই নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি।

১। কাঠ বাদামে আছে মনসেচুরেটেড ফ্যাট। এটি শরীরে কলেস্ট্রল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঠ বাদাম খেলে শরীরে HDL কলেস্ট্রল অথবা ভালো কলেস্ট্রল বাড়াতে সাহায্য করে। একটি রিসার্চ এ দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন ১ টি করে কাঠবাদাম খেয়েছে তাদের কলেস্ট্রল ৪.৪% কমেছে এবং যারা প্রতিদিন দুটি করে খেয়েছে তাদের কমেছে ৯.৪% ।

আরও পড়ুনঃ   নারিকেল তেলের উপকারিতা কী? নারিকেল তেলের ১০ গুণ জেনে নিন

২। কাঠ বাদামে এমন ফাইবার আছে যেটি কলন ক্যানসার রোধে সহায়ক। তাছাড়া কাঠ বাদামে ভিটামিন ই, Phytochemicals এবং flavonoi আছে যেটি ব্রেস্ট ক্যানসার রোধে সহায়তা করে।

৩। কাঠ বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।

৪। কাঠ বাদাম তেল শরীরের শক্তি সঞ্চালন করে। এতে আছে রিবফ্লাবিন, ফসফরাস, কপার, যেটা শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৫। কাঠ বাদামে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি। এটি শরীরে হাড় এবং দাঁত মসবুত করে। তাছাড়া যাদের হাড় ক্ষয়, আরথাইটিস রোগ আছে, তাদের জন্য কাঠবাদাম তেলের মালিশ অনেক ভালো।

৬। এছাড়াও কাঠ বাদাম এনিমিয়া, জন্ম গত ত্রুটি, মস্তিষ্ক এর শক্তি বাড়াতে সহায়ক।

চুলের যত্নে কাঠ বাদামঃ

১। কাঠ বাদামে রয়েছে চুল বান্ধব মনো ফ্যাটি অ্যাসিড, তার সাথে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এরা চুল কে পুষ্টি দেয়, চুল কে শক্ত করে। ফ্যাটি অ্যাসিড চুল কে সফট, সোজা এবং সিল্কি রাখে।

২। কাঠ বাদামে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের ফসফরাস। যেটি ভালো চুল গজাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চুল পড়ে প্রধানত ফসফরাস এর অভাবে। রেগুলার কাঠ বাদাম খেলে ফসফরাসের অভাব মিটবে। শরীর এর ফাংশন থেকে শুরু করে চুলও প্রোটিন পাবে।

৩। যারা চুল এর খুশকি নিয়ে চিন্তিত, তারা ১:১ অনুপাতে কাঠ বাদাম তেল + নিম তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। সারারাত রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলেন। আশা করি খুশকির সমস্যা থাকবে না।

৪। কাঠ বাদাম তেল এর সাথে রস্মারি এবং ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার তালু মাসাজ করলে চুল পড়া কমবে।

৫। কাঠ বাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল এর আগা শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে, চুল তাড়াতাড়ি বাড়বে।

কাঠ বাদাম মোটামুটি সব জায়গায় পাওয়া যায়। ভালো মানের কাঠ বাদাম পাবেন মোস্তফা মার্ট, ইউনি মার্ট, আগরা ইত্যাদি। দেশি কাঠ বাদাম দাম পড়বে ৫০-১৫০ আর বিদেশি গুলো ৫০০-৭৫০। বিদেশি গুলো কেনা ভালো এবং এক প্যাকেটে ১ কেজির মত থাকে।

কাঠ বাদাম নিজে ভাঙ্গিয়ে তেল করে নিলে অনেক ভালো হয়। কোন কেমিক্যাল থাকে না। তাছাড়া অনলাইন পেজ izdihar ১০০% খাটি কাঠ বাদাম তেল বিক্তি করে। দাম ১০০ গ্রাম ৪০০ টাকা। এছারা রয়েছে ওয়েলস এর কাঠ বাদাম তেল, দাম ১৪০-১৬০। চুলের জন্য ডাবার কাঠ বাদাম তেল অনেক ভালো। দাম ১৫০-২৫০।

চুলের যত্নে কাঠ বাদামের উপকারিতা:

কাঠবাদামের দুই ধরনের তেল হয়, একটি মিষ্টি আরেকটি তিতা। আর তিতা কাঠবাদামের তেল চুল পরিচর্যায় কাজে লাগে।
কাঠবাদামের তেলে থাকা ভিটামিন ই, ডি, পটাশিয়াম ম্যাগনিজিয়াম-এর অন্যতম উৎস যা চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা ব্যবহারেই বেশ কাজ করে।

কাঠবাদামের তেলের সঙ্গে আরও কিছু উপদান মিলিয়ে ব্যবহার করলে চুল হয় আরও সাস্থ্যোজ্জ্বল।
চুল পড়া কমাতে ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ কাঠবাদামের তেল ও ১ টেবিল-চামচ মধু ভালোভাবে মেশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সবশেষে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। মাথায় নতুন চুল গজাতে ও চুল পড়া কমাতে মিশ্রণটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   সঠিক পদ্ধতিতে তরমুজ খেয়ে যৌনশক্তি ১০ গুন বৃদ্ধি করুন - তরমুজের উপকারিতা - যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারাতে কার্যকর। এক্ষেত্রে সমপরিমাণ বাদাম তেল ও কুসুম গরম নারিকেলের দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে পুরো মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
ভঙ্গুর চুলের ক্ষেত্রে নারিকেলের দুধের পরিবর্তে অর্ধেক পাকা আভোকাডো মেশালে উপকার পাওয়া যাবে।
কয়েক ফোঁটা কাঠবাদামের তেল হাতের তালুতে নিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। দেখবেন চুল আলোকোজ্জ্বল দেখাচ্ছে। সাধারণত কোঁকড়া চুলের জন্য এটি বেশি প্রযোজ্য।

কাঠবাদামের তেলে থাকা উপদান চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে মাথার ত্বকে কয়েক ফোঁটা বাদামের তেল নিয়ে ঘষলে চুলে হবে উজ্জ্বল। তাছাড়া চুল মজবুত ও ঘন করার পাশাপাশি চুলে পুষ্টি জোগাতে ও মাথার ত্বক মসৃণ রাখতে এই তেল বেশ কার্যকর।

নিয়মিত এই তেল মাথায় মালিশ করলে চুল হয় মসৃণ ও নরম। ফলে চুল সামলানও সহজ হয়। তাছাড়া কাঠবাদামের তেল মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক রেখে নতুন চুল গজাতে ও ভঙ্গুর চুল দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে।

যখন কাঠবাদামের তেল মাখলে মাথার ত্বক, মৃত কোষ ও খুশকি নরম হয়, ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করার সময় খুশকি ও মৃত কোষ খুব সহজেই উঠে আসে। তাছাড়া এভাবে মাথার ত্বকে মালিশ করা হলে লোমকূপ খুলে যায় এবং চুলের গভীরে তেল যেয়ে চুলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
শ্যাম্পু করার কয়েক ঘণ্টা আগে কাঠবাদামের তেল চুলে মাখুন। এটা মাথার ময়লা তেলের সঙ্গে উঠে আসবে। ফলে চুল ধোয়ার সময় তেলে সঙ্গে ময়লাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মাথার ত্বকের ভিতর ঢুকে চুলের গভীর থেকে পুষ্টি যোগায় কাঠবাদামের তেল। ফলে চুল হয় নরম ও স্বাস্থ্যোউজ্জ্বল হয়।
আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে কাঠ বাদাম তেলের।চুলে ব্যবহারের সাথে সাথে নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে ভিতর থেকে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুলের সাথে সাথে ত্বক ও ভালো থাকবে। আপনার কী কাঠবাদাম দরকার? তাহলে বিডি হেলথ কাঠবাদাম কিনুন।

কাঠবাদামের উপকারিতাঃ প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে কী হয়?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + one =