বরইয়ের পুষ্টিগুণ- বরইয়ের ১৫টি উপকারিতা জেনে নিন

0
849
বরইয়ের পুষ্টি

বরই বা কুল আমাদের দেশের বসন্তকালের পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ আছে। যেমন পাকা কলা, পাকাপেঁপে-আনারস পেয়ারা, লিটু, কমলা, ডাবের পানি, তরমুজ, বাঙ্গি, লেবু, বেল, আমড়া, জলপাই, কামরাঙ্গা ও আমলকীর চেয়ে খনিজ পদার্থের পরিমাণ বরইয়ে বেশি। আয়রনের পরিমাণ বেশির ভাগ ফলের চেয়ে বেশি। বরইয়ে ভিটামিন ‘এ’ নেই। ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ বেশির ভাগ ফলের চেয়ে বেশি। খাদ্যশক্তির পরিমাণ পাকা কলা, নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। আয়ুর্বেদীয় ওষুধ তৈরিতে বরই ব্যবহৃত হয়।বরই বা কুল আমাদের দেশের বসন্তকালের পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ আছে। যেমন পাকা কলা, পাকাপেঁপে-আনারস পেয়ারা, লিটু, কমলা, ডাবের পানি, তরমুজ, বাঙ্গি, লেবু, বেল, আমড়া, জলপাই, কামরাঙ্গা ও আমলকীর চেয়ে খনিজ পদার্থের পরিমাণ বরইয়ে বেশি। আয়রনের পরিমাণ বেশির ভাগ ফলের চেয়ে বেশি। বরইয়ে ভিটামিন ‘এ’ নেই। ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ বেশির ভাগ ফলের চেয়ে বেশি। খাদ্যশক্তির পরিমাণ পাকা কলা, নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি। আয়ুর্বেদীয় ওষুধ তৈরিতে বরই ব্যবহৃত হয়।প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী বরইয়ে নিম্নলিখিত পরিমাণ পুষ্টি উপাদানে থাকে :
পানির অংশ ৭৩.২ গ্রামমোট খনিজ পদার্থ ১.০ গ্রামআমিষ ২.৯ গ্রামশর্করা ২৩.৮ গ্রামক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রামআয়রন ১.৮ মিলিগ্রামভিটামিন বি১ ০.০২ মিলিগ্রামভিটামিন বি২ ০.০৫ মিলিগ্রামভিটামিন সি ৫১ মিলিগ্রামখাদ্যশক্তি ১০৪ কিলোক্যালরি
তবে এই পুষ্টিমান বরইয়ের জাত এবং উৎপাদনের স্থানের জন্য কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।-কৃষিবিদ ফরহাদ আহম্মেদ

দেশি ফলগুলোর জনপ্রিয়তার হিসাব করলে বরইয়ের নামটি হয়তো তালিকার উপরের দিকেই থাকবে। বরই মূলত শীতকালীন ফল। তাইতো রংবেরঙের এই ছোট ফলগুলো এখন গাছে, হাটে ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, বেশ পুষ্টিকরও। রোগ প্রতিরোধকারী ফল হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে বেশ। ফলটি যেমন অর্থকরী, তেমনি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। পুষ্টিগুণ ছাড়াও বরইয়ের রয়েছে অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।নিচে কয়েকটি কথা দেখে নিতে পারেন এক নজড়ে।

১. বরইয়ে থাকা খাদ্যশক্তি শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
২. এতে উপস্থিত পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন এ চোখের যত্নে দারুণ ভাবে কাজ করে। দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করতে এর জুড়ি নেই।
৩. রক্তশুন্যতা দূর করতেও বরই বেশ কার্যকরী।
৪. হাড়ের গঠনে বরইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম সাহায্য করে।
৫. বরইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ইনফেকশনজনিত রোগ যেমন টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।
৬. বরইয়ে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উচ্চ মাত্রার ক্ষমতা সম্পন্ন। এই উপাদান ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৭. যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বরই। এই ফল যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৮. বরই অত্যন্ত চমৎকার একটি রক্ত বিশুদ্ধকারক। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই খুবই উপকারী ফল। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে এই ফল।
৯. হজম শক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলাসহ এ ফল মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে।

১০. বরইয়ে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। গলার ইনফেকশন জনিত অসুখ যেমন-টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠান্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া রোধ করে।

আরও পড়ুনঃ   প্রতি দিন ৩ টা করে ডিম খেলে কী উপকার হয়?

১১. মৌসুমি জড়, সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ।

১২. উচ্চমানের ভিটামিন এ রয়েছে এই ফলে। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং কোলস্টেরল কমানো জন্য রয়েছে এর চমকপ্রদ ক্ষমতা।

১৩. বরইয়ের রস অ্যান্টিক্যান্সার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ফলে রয়েছে ক্যান্সার সেল, টিউমার সেল, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি।

১৪. উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারি। রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া খাবারে রুচি আনার জন্যও এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৫. বরইয়ের খোসা খাবার হজমে সাহায্যে করে

এনার্জি ড্রিংকের মতো কাজ করে যে খাবারগুলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 2 =