নাক ডাকার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে৷ সমীক্ষা বলছে গড়ে প্রতি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন নাক ডাকেন৷ যিনি নাক ডাকেন, তিনি তো মনের সুখে ডাকছেন কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু যিনি পাশে শুয়ে আছেন, তাঁর আর ঘুম না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি৷ এই বিরক্তিকর নাক ডাকের আওয়াজ শুনতে আর কারই বা ভাল লাগে বলুন। এই অভ্যাস দূর করতে নিচের টিপস গুলো মেনে চলুন-
১। এলাচের দানা গুড়ো করে রেখে দিন। প্রত্যেকদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে এক থেকে চামচ এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে রাতে নাক ডাকার মত বদঅভ্যাস দূর হবে।
২। কিছুটা মাখন গরম করে গলিয়ে নিন। তারপর নাকের দুই ছিদ্রে এক ফোটা করে এই গলানো মাখন দিন। প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার সময় করুন। এতে আর রাতে নাক ডাকার ভয় থাকবে না।
৩। চিত হয়ে শোয়ার থেকে যদি একদিক করে শোয়া যায় তাহলে নাক ডাকা অনেক কম হয়। যতটা সম্ভব একদিকে কাঁদ হয়ে শোবার চেষ্টা করুন।
৪। অনেকে আছেন যারা রাতে শুতে যাওয়ার আগেই ঠিক এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খেয়ে শুতে যান। এর ফলে মুখে ও গলায় শ্লেষ্মার একটা পরত জমে যায়। ফলে নাক ডাকার আওয়াজ আরও বেড়ে যায়।
৫। রাত ৮ টার পর ভারি খাবার একেবারে পেট ভরে খাবেন না। বা খাওয়ার ঠিক পরেই শোবেন না। একেই সন্ধ্যার পর শরীরের যন্ত্রাদি কাজের গতি মন্থর করে। তখন যদি অতিরিক্ত খাবার পেটে য়ায়, পাচন যন্ত্রকে অতিরিক্ত শক্তি লাগাতে হয় তখন। ফলে ঠিক করে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তখনই নাক ডাকার আওয়াজ উৎপন্ন হয়।
৬। অ্যালকোহল এবং ধূমপান উভয়ের প্রভাবেই নাক ডাকার আওয়াজ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর হতে পারে। কারণ এই ধরণের নেশা আমাদের পেশিকে বিশ্রাম দেয়, ফলে স্বাভাবিক কাজ বাধা পায়। যার ফলেও নাক ডাকার সমস্যা হয়। তাই শুতে যাওয়ার ঠিক আগেই ধূমপান করবেন না।