ধর্ষণকারীকে প্রতিরোধে নারীর যা করণীয়

0
392
ধর্ষণ,নারী

প্রতিনিয়ত দেশে নারী ধর্ষণের পরিমান জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। প্রেম করতে প্রথম ডেটিংএ গিয়ে ধর্ষণ, অফিস থেকে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যাওয়ায় নির্জন স্থানে একা পেয়ে ধর্ষণ, গ্রামে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, বাসে চালক-হেলপার কর্তৃক যুবতী ধর্ষণ, অফিসে লম্পট বস্ কর্তৃক নারী সহকর্মী ধর্ষণ, পর্যটনে গিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ঘরের ভিতর ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, এমন অহরহ ধর্ষণের ঘটনা প্রতিদিন সারা দেশে ঘটেই চলেছে।

কিন্তু ধর্ষণকারীদের হাত থেকে সম্ভ্রম রক্ষা করে ক’জনই বাঁচতে পেরেছেন? হ্যাঁ, সাহসী কিছু নারীরা প্রতিরোধ করে তাদের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পেরেছেন এমন উদাহরণও কিন্তু আছে। তো চলুন দেখি ধর্ষণকারীকে প্রতিরোধে কি কি করনীয়ঃ
১) প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিটি নারীর উচিৎ শালীনভাবে রাস্তায় চলাফেরা করা, যাতে অসভ্য পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে মুক্ত থাকা যায়। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে পর্দা প্রথা মেনে চলা অনেক উপকারে আসতে পারে।
২) শিশু বয়স থেকেই মেয়েদের আত্নরক্ষার্থে কারাতে বা কুংফু প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে কিশোরী বয়স হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে রক্ষায় সাহসী হতে পারবে।
৩) রাত বেশী হলে নারীদের রাস্তায় একা চলাফেরা করা উচিৎ নয়, এক্ষেত্রে যদি একান্ত বেশী রাতে বাইরে বের হতেই হয় তবে সেক্ষেত্রে সাথে সঙ্গী রাখলে কিছুটা নিরাপত্তা পেতে পারেন।
৪) নারীরা তাদের ব্যবহৃত সাইড ব্যাগের ভিতর কিছুটা শুকনা মরিচের গুড়া রাখতে পারেন। তাতে সুযোগ পেলে ধর্ষণের চেষ্টকারীদের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে পালিয়ে আসতে পারেন।
৫) নারীরা তাদের ব্যবহৃত সাইড ব্যাগের ভিতর সবসময় একটি বডিস্প্রে রাখতে পারেন, সম্ভব হলে পিপারস্প্রে বহন করা যেতে পারে। সুযোগ বুঝে ধর্ষণকারীদের চোখে স্প্রে করে পালিয়ে যেতে পারেন।
৬) ব্যাগের ভিতর আগ্নেয়াস্ত্র রাখা সম্ভব নয় কেননা সেটা আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি। কিন্তু সাইড ব্যাগের ভিতর সবসময় একটি শক্ত ও মোটা এন্টি কার্টার রাখা যেতে পারে। আক্রান্ত হলে আত্নরক্ষার্থে সেটার পর্যাপ্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন অনেক উদাহরণ দেখা গেছে আক্রান্ত হতে যাওয়া নারীটি বুদ্ধি করে ধর্ষণকারীর লিংগ কর্তন করে সম্ভ্রম রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ   বিপথগামী স্বামীকে সুপথে আনতে স্ত্রী যে ১০টি কাজ করতে পারেন!

এ ধরনের পরিস্থিতিতে সর্বক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে, নিজের মস্তিস্ক ঠান্ডা রেখে মনে মনে মুক্তির উপায় খুজে পাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ। সেই সাথে এটা মাথায় রাখা উচিৎ প্রতিরোধ করতে পারলে আক্রমনকারী দূর্বল হবেই। আপনি যদি সাহস করে প্রতিরোধ করতে পারেন তবে, সৃষ্টিকর্তাও আপনাকে সাহায্য করবে।

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − ten =