পুরো মুখশ্রীর মাঝে ঠোঁটের সৌন্দর্য সবসময়ই আলাদা ও আবেদনময়ী। তবে এই সৌন্দর্যের মাঝেও লুকায়িত থাকে আপনার স্বাস্থ্যকথা, সেটা কি জানেন? পূর্বে জানানো হয়েছিল যে, চোখ ও চোখের আশেপাশের ত্বক দেখে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারণা পাওয়া সম্ভব। শুধু চোখ নয়, ঠোঁট, ঠোঁটের ত্বক ও রঙ দেখেও স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা নেওয়া সম্ভব। জেনে নিন আপনার ঠোঁটের রঙের ভিন্নতা থেকে কীভাবে বুঝবেন আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা।
উজ্জ্বল লাল রঙের ঠোঁট
লাল রঙ স্বাস্থ্য সম্পর্কে ইতিবাচক দিক নির্দেশনা দেয়। কিন্তু লাল রঙ যদি খুব বেশী প্রকট হয় তাহলে বুঝতে হবে যকৃৎ ও প্লীহা খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। এমন অবস্থায় আপনার মাঝে প্রবল ক্ষুধাভাব এবং মুখে দূর্গন্ধ দেখা দিতে পারে।
বেগুনী অথবা সবুজাভ বর্ণের ঠোঁট
শীতকালে বেশীরভাগ মানুষের ত্বকে ও ঠোঁটের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো- অতিরিক্ত শীতভাবের জন্য ঠোঁটের রঙ বেগুনী অথবা সবুজাভ বর্ণ ধারণ করা। তবে, শীতকাল পার হয়ে যাবার পরেও অনেক বেশি সময় যাবত ঠোঁটের রঙ এমন অবস্থায় থাকলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য যাওয়া উচিৎ। কারণ, ঠোঁটের এমন বর্ণ হৃদযন্ত্রের ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।
হালকা গোলাপি ঠোঁট
আপনার ঠোঁটের রঙ কি খুব হালকা ধাঁচের গোলাপি রঙের? তবে কোন চিন্তা নেই একেবারেই। কারণ, ঠোঁটের এমন দারুণ রঙ নির্দেশ করে শারীরিকভাবে আপনি একদম সুস্থ আছেন।
গাড় লাল থেকে কালো ঠোঁট
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ঠোঁটের এমন বর্ণ দেখা যায় অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে। তবে, আপনি যদি অধূমপায়ী হয়ে থাকেন এবং আপনার ঠোঁটের বর্ণ উল্লেখিত গাড় লাল থেকে কালো হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে শারীরিক দিক থেকে বেশ চিন্তার বিষয় রয়েছে। কারণ, ঠোঁটের এমন বর্ণ হজমশক্তি সমস্যা নির্দেশ করা। যা হয়তো সঠিকভাবে কাজ করছে না বর্তমানে।হজমশক্তি স্বাভাবিক করার জন্য ও বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা শুরু করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
গাড় লাল অথবা বেগুনী দেখা দেওয়া ঠোঁট
পূর্বে উল্লেখিত এক পয়েন্টে বলা হয়েছে যে, ঠোঁটে বেগুনী বর্ণ দেখা দেয় অতিরিক্ত ঠাণ্ডার প্রকোপের জন্য। তবে আরো একটি কারণ রয়েছে যার ফলে ঠোঁটের বর্ণ এমন ধারণ করে। শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিলে এবং কোন কিছু অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে ঠোঁটের রঙ এমন ধারণ করে থাকে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে ঠোঁটের এমন রঙ আবারও ঠিক হয়ে যাবে। তার জন্যে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভাত, গাজর, কাজুবাদাম, মাছ, মুরগীর মাংসের মতো পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সূত্র: Boldsky