জানেন কী প্রতিদিন কেন অলিভ অয়েল পান করা উচিৎ?

0
384
অলিভ অয়েল পান করা

পুরো বছর জুড়ে তো বটেই, শীতের সময় এলেই যে পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধি পায় সেটা হলো অলিভ অয়েল। শুধুমাত্র ত্বকের যত্ন কিংবা রান্নার জন্যেই নয়, অলিভ অয়েল সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব দারুণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট সমূহ, ফ্যাটি এসিড সমূহ এবং বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন। বিশেষ করে অলিভ অয়েলে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড, যা হৃদযন্ত্রের জন্য দারুণ উপকারী স্নেহ জাতীয় পদার্থ।

একই সাথে অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, যা হৃদযন্ত্র এবং রক্ত কোষ এর যেকোন ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। বহু আগে থেকে হৃদযন্ত্রের জন্য অলিভ অয়েল খুব ভালো একটি উপাদান হিসেবে পরিচিত। যে কারণে প্রতিদিন অলিভ অয়েল পান করা শুধুমাত্র হৃদযন্ত্রের জন্যে নয়, ওজন হ্রাস ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তবে যেহেতু তেল জাতীয় পদার্থ বলে অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, সেহেতু পুষ্টিবিদের সাথে আলোচনা করে স্বল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যাবে। জেনে নিন প্রতিদিন অলিভ অয়েল পানের স্বাস্থ্য উপকারীতা সমূহ।

মলাশয় (কোলন) এর সমস্যা দূর করে

অলিভ অয়েল সেই সকল ক্ষত হওয়া কোষ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, যেগুলো থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভবনা থাকে। এছাড়াও এই তেল মলাশয়ের অন্যান্য সমস্যা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সারাতে সাহায্য করে।

সুস্থ ত্বকের জন্য

অলিভ অয়েল ত্বক, নখ ও চুলের জন্য দারুণ উপকারী তেল। এই তেল ত্বককে নরম করতে খুব ভালো কাজ করে। একই সাথে ত্বকের ক্ষত সারাতে, ত্বকে পুষ্টি জোগাতে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও অলিভ অয়েল অন্য যেকোন পণ্যের চাইতে বেশী উপকারী। এছাড়াও, নখ ও চুলের বৃদ্ধির জন্য অলিভ অয়েল অন্যতম একটি উপাদান।

যকৃৎ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে

শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মাঝে যকৃৎ অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এই যকৃৎ এর মাধ্যমেই শরীরের ভেতরের সকল অঙ্গের পরিষ্কারকরণ কার্যকলাপ সংঘটিত হয়ে থাকে। যে কারণে, যকৃৎকে সুস্থ ও পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। অলিভ অয়েল পান করার মাধ্যমে খুব সহজেই যকৃৎকে ডিটক্সিফাই করা সম্ভব। দুই চা চামচ অলিভ অয়েল এর সাথে একটি লেবুর তিনভাগের একভাগের রস মিশিয়ে পান করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় বিভিন্ন তেলের উপকারিতা

ওজন কমাতে সাহায্য করে

অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী স্নেহ জাতীয় পদার্থ। এটা খাওয়ার ফলে, পেট অনেকক্ষন পর্যন্ত ভরা থাকে এবং স্বাস্থ্যকর পুষ্টিও পাওয়া যায়। এ কারণে মাখনের পরিবর্তে অলিভ অয়েল গ্রহণ করা উচিৎ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে অলিভ অয়েলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পরিচালিত করার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল খুব ভালো ভূমিকা রেখে থাকে।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে

শরীরের জন্য উপকারী কোলেষ্টেরল (HDL) বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে বলে রান্নায় অথবা সালাদের সাথে অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে

অলিভ অয়েল শরীরে আইবুপ্রোফেন (Anti-inflammatory drug) অথবা প্রদাহ-বিরোধী ওষুধের মতো কাজ করে থাকে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, ৩-৪ চা চামচ অলিভ অয়েল পান করলে ১০% আইবুপ্রোফেন এর ন্যায় কাজ করে থাকে।

রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে

অলিভ অয়েল রক্তে খারাপ কোলেষ্টেরল এর মাত্রা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যা থেকে বলা যায় যে, নিয়মিত অলিভ অয়েল পানের ফলে ডায়বেটিস এর সমস্যার ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া সম্ভব।

সূত্র: Boldsky  

জেনে নিন অলিভ অয়েলের ৭টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 1 =