খোসপাঁচড়া ও দাঁতের রোগে নিমপাতা

0
486
খোসপাঁচড়া ও দাঁতের রোগে নিমপাতা

মানুষের শরীরে নানা রকম রোগব্যাধী বাসা বাঁধে। এসব রোগ নিরাময়ের জন্য ভেষজ উদ্ভিদের তুলনা নাই। এই তালিকায় সব সময় নিমপাতা শীর্ষে থাকে। অনেকে বলে থাকেন সর্বরোগের ঔষধ হল এই নিমপাতা। শত শত বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ঐতিহ্যে নিমপাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ নিমপাতার বিভিন্ন ধরনের কার্যকারীতা আলোচনা করা হলো:

কফজনিত বুকের ব্যথা :
অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এজন্য ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। তবে গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এ ওষুধটি নিষেধ।

কৃমি :
পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এজন্য ৫০ মিলিগ্রাম  নিমগাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে তিনবার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।

উকুন নাশ :
নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগান। ঘণ্টা খানেক পর মাথা ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ দিন এভাবে লাগালে উকুন নাশ হবে বা মরে যাবে।

খোসপাঁচড়া :
নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাঁচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েক দিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুঁল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

অজীর্ণ :
অনেক দিন ধরে পেটের অসুখ। পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিমপাতার রস সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

দাঁতের রোগ :
নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংবা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবে রোগ থেকে। ওষুধের কৃত্রিমতার উপরে আছে প্রকৃতির অসাধারণ সব উপাদান, যার অল্প একটু ব্যবহারই প্রতিদিন আমাদের রাখবে সুস্থ ও সতেজ।

এছাড়া নিমের পাতায় অ্যান্টি-ফুঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা চুলের খুশকি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের জ্বালা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমের ডি-টক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যের জন্য ত্বকের রোগ নিরাময়ের জন্য আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে এর উল্লেখ করা হয়। ব্রণ বৃদ্ধি করে যে সকল ব্যাকটেরিয়া নিমপাতা তা দূর করে।

আরও পড়ুনঃ   অ্যান্টিবায়োটিকের মতই কাজ করবে ঘরোয়া এই উপাদানগুলো!

 জে এস

প্রতিদিন সকালে এই ৬ পানীয়র একটি পান করুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − seventeen =