এলার্জি কোন নতুন সমস্যা নয়। এলার্জির কারণে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হয় অনেক প্রিয় খাবার। আর চুলকানির যন্ত্রণা তো রয়েছেই। কিন্তু চাইলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে এলার্জি বিদায় জানাতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক-
নিম পাতা
এক কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এছাড়া আরো লাগবে ইসবগুল।
এক চা-চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ইসবগুল এক গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে এক মাস লেগে যেতে পারে। এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না সেগুলো খেতে পারবেন।
লেবু
লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা যেকোন চুলকানি খুব সহজেই দূর করে দেয়। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন দেখবেন চুলকানি কবে যাবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি
যদি ত্বক খুব নাজুক হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এর কোন বিপরীত প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই জেলিতে কোন ধরণের বিষাক্ত পদার্থ নেই যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে। তাই শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা। এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। শরীরের যেকোন জায়গায় চুলকানি হলে এক টুকরা অ্যালোভেরার জেল নিয়ে ঘষুন। এতে সহজে চুলকানি চলে যাবে।
তুলসী পাতা
কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি থামাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতাগুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি বরফ করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।