এইডস নিয়ে ভুল ধারণা ও ভীতি

0
231
এইডস

মারাত্মক একটা ব্যাধির নাম এইডস। এটা এমন একটি রোগ, যার কোনো চিকিৎসা নেই, নেই কোনো প্রতিকার। এইডসের নাম শুনে ভয়ে আঁতকে উঠেন বেশির ভাগ মানুষ। তবে এইডস রোগ নিয়ে এতো ভয় পাওয়ার কিছু নাই। এইডস সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য নিজে জানতে হবে এবং অন্যকেও জানালে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যেহেতু এইডস একটি ঘাতকব্যাধি, তাই এ নিয়ে সাধারণের মধ্যে শঙ্কার শেষ নেই। কিন্তু এইডস সম্পর্কে এই শঙ্কার অনেকটাই অমূলক। এমন অনেকে আছেন এইডস রোগীকে দেখামাত্রই উল্টো দৌড়ে পালাবেন এ রকম একটা অবস্থা। ভাবটা এমন যেন এইডস রোগীকে যারা দেখবে, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হবে। তাই জেনে নিন এইডস সম্পর্কে সচেতনেতামূলক কিছু তথ্য –

# এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে স্বাভাবিক ও সামাজিক মেলামেশায় এ রোগ অন্যের মাঝে ছড়ায় না।

# এইডস রোগীর সঙ্গে করমর্দন, কোলাকুলি, একসঙ্গে বসা, গল্প করা, চলাফেরায় কোনো বাধা নেই। এ জাতীয় মেলামেশায় এ রোগ অন্যের মাঝে ছড়ায় না।

# এমনকি এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি, কাশি বা থুতুর মাধ্যমেও এ রোগ অন্যকে সংক্রমিত করে না।

এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই বাসায় বসবাস করলে, একই বিছনায় ঘুমালে, একই তোয়ালে/গামছা, বিছানার চাদর ব্যবহারে এইডস ছড়ায় না। কাজেই এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, চুমুতে এ রোগ ছড়ায় কি-না? আসলে এইডস রোগীর সঙ্গে চুমুতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে কথা হচ্ছে কারো মুখে যদি ছোটখাটো ঘা থাকে কিংবা ছিঁড়ে গিয়ে থাকে অথবা মাড়ি থেকে সামান্যতম রক্তপাত হয়ে থাকে ইত্যাদি ক্ষেত্রে এইডসের জীবাণু সুস্থ ব্যক্তির রক্তে সংক্রমিত হতে পারে।

অনেকেই ভাবেন, এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো মশা কামড়ানোর পর সেই মশা যদি কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তাহলে কি সুস্থ ব্যক্তিও এইডসে আক্রান্ত হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, কীটপতঙ্গ বা মশার কামড়ে এইডস ছড়ায় বলে জানা যায়নি। কাজেই এইডসকে অযথা ভয় না পেয়ে এইডস প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ   পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

মানবদেহের প্রায় ৪ টি তরল পদার্থে এইচআইভি থাকে। যথা- রক্ত, বীর্য, সেক্সুয়াল ফ্লুইড/ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড এবং মায়ের বুকের দুধ। একটা মজার ব্যপার হচ্ছে, এই চারটা তরল ছাড়াও মুখের লালা এবং প্রস্রাবেও এইচআইভি থাকে। তবে সেগুলো এইচআইভি সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট নয়।

এইচআইভি ছোঁয়াচে নয় এবং শুধুমাত্র স্পর্শের মাধ্যমেই এইচআইভি এক শরীর থেকে অন্য শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে না। এ বিচারে, এইচআইভি বহনকারী ব্যক্তি অন্য সাধারণ ব্যক্তিদের মতোই স্বাভাবিক আচরণ প্রত্যাশা করতে পারেন।


 জে এস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 9 =