ইসবগুলের বিস্ময়কর উপকারিতা জানতে চান কি?

0
1949
ইসবগুলের উপকারিতা ,ইসবগুল

প্লান্টাগো ওভাটা (Plantago  ovata) উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায় ইসবগুলের ভুষি।এটি জলগ্রাহি। ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানে এই উদ্ভিদের চাষ করা হয়। ইসুবগুলে ৭০% দ্রবণীয় এবং ৩০% অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। ইসুবগুলের ভুষি শুধু পরিপাকতন্ত্রের জন্যই উপকারী নয় এর আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যুবক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই বোধহয় ইসবগুলের নাম শুনেছে। কারণ, এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে যে কখনো কোষ্ঠবদ্ধতায় ভোগেনি। আর কোষ্ঠবদ্ধতা হলেই বাড়ির মুরব্বিরা যে জিনিসটির কথা প্রথমে স্মরণ করেন তা হলো ইসবগুল বা ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুলে আছে খাদ্য আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ডায়রিয়া এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও ইসবগুলের জুড়ি নেই।ইসবগুল ব্যবহারে কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, আমাশয়, সুতিকা রোগ, শ্বাসকষ্ট এবং মাথাঘোরা প্রভৃতি ভালো হয়।

ইসবগুল বা psyllium husk বাংলাদেশ, ভারত সহ অনেক দেশেই এটি বেশ পরিচিত।এটি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী।তবে এই সাদা ভুষিটির উপকারিতা শুধুমাত্র হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে।

চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের উপকারিতা-

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে

ইসবগুলে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে।এটি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।

দুর্বলতা / হাত পা জ্বালাপোড়া/মাথা ব্যথা

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে মধু ও ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে করে কর্মব্যস্ত সারাদিনের দুর্বলতা দূর হয়। হাত-পা জ্বালাপোড়া, মাথা ঘোরা এসব ছোট-খাটো সমস্যার জন্য এক গ্লাস আখের গুড়ের শরবতের সঙ্গে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খান। বেশ ভালো উপকার পাবেন।

কোলন-ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কোলন কার্সিনোজেনে (ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক) আক্রান্ত কিছু ইঁদুরের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেলুলোজের তুলনায় ইসবগুল উল্লেখযোগ্যহারে টিউমারের ঘটনাসমূহকে হ্রাস করেছে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে

যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।কারন দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ   পেটের সমস্যা দূর করা ছাড়াও ওজন কমাতে ইসবগুল!

জীবাণুঘটিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে

কোষের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পানি এবং পেট্রলিয়াম-জাতীয় তুষারের নির্যাস হিটোলাইটিকাসহ তিন প্রজাতির জীবাণুকে নিষ্ক্রিয় করে; যেগুলো মানবদেহে ব্যাপকহারে সংক্রমণ ঘটায়।

অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে

বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুল হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

যেকোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে, ইসবগুলের ভুসি তা সারাতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে

ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুল হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়। এছাড়াও ইসবগুল কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান থাকতে সাহায্য করে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে। কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। অথবা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ইসবগুলের ভুষি খেতে থাকুন। এতে করে অন্যান্য খাবারের অতিরিক্ত যে চাহিদা থাকে তা কমতে শুরু করে। ফলে ক্ষুধা কম লাগে বিধায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমক্রিয়ার উন্নতিতে

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্যআঁশে ভরপুর ইসবগুল হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।এটি শুধু পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেই সাহায্য করে না এটি পাকস্থলীর ভেতরের খাবারের চলাচলেও এবং পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে।তাই হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে নিয়মিতভাবে ইসবগুল খেতে পারেন। এছাড়া মাঠা বা ঘোলের সাথে ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন ভাত খাওয়ার পরপরই। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে তা হল ইসবগুল মিশিয়ে রেখে না দিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলতে হবে।
হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায়

আরও পড়ুনঃ   একটিমাত্র তুলসী পাতা দূর করে দেবে ৭ স্বাস্থ্য সমস্যা

ইসবগুলে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা আমাদেরকে হৃদরোগের থেকে সুরক্ষিত করে।হৃদরোগের সুস্থতায় ইসবগুল সাহায্য করে কারন এটি উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত। ডাক্তাররা সব সময় হৃদরোগ প্রতিরোধে এমন খাবারের কথাই বলে থাকেন।এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তরের সৃষ্টি করে যার ফলে তা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয় বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয় যা থাকলে ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে তা হৃদরোগ এবং কোরোনারী হার্ট ডিজিজ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাবে খাবারের ঠিক পরে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে ইসবগুল খান।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ইসবগুল যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য খুবই ভালো। এটি পাকস্থলীতে যখন জেলির মত একটি পদার্থে রূপ নেয় তখন তা গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। খাবার পর নিয়মিত ভাবে দুধ বা পানির সাথে ইসবগুল মিশিয়ে পান করুন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে।তবে দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবেন না এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
পাইলস প্রতিরোধে

প্রাকৃতিক ভাবে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্যআঁশে ভরপুর ইসবগুল যারা পায়ুপথে ফাটল এবং পাইলসের মত বেদনাদায়ক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম। এটা শুধু পেট পরিষ্কার করতেই সাহায্য করেনা মলকে নরম করতে সাহায্য করে অন্ত্রের পানিকে শোষণ করার মাধ্যমে এবং ব্যাথামুক্ত অবস্থায় তা দেহ থেকে বের হতেও সাহায্য করে। এটি প্রদাহের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। ২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে পান করুন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ইসুবগুলের দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে ফ্যাট ও অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সাথে জেল গঠন করে বর্জ্যের সাথে বের হয়ে যায়। অন্ত্রের দেয়াল যাতে ফ্যাট শোষণ করতে না পারে তাতে সাহায্য করে ইসুবগুল।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে
 ইসুবগুলের মাত্রাধিক দ্রবণীয় ডাইটারি ফাইবার আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের খাদ্য শোষণ ভিলাইয়ের উপর এক জালকের সৃষ্টি করে ফলে ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ শোষিত হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে।
রক্তচাপ কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঁশ এবং প্রোটিন খেলে রক্তের সিস্টোলিক চাপ উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পায়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসবগুল কার্যকর ভুমিকা রাখে।
যৌনতা বৃদ্ধি করতে
প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে মধু ও ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।
সতর্কতা

আরও পড়ুনঃ   রূপচর্চা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে জানেন কি?

এটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সমস্যা গুলোর ঘরোয়া সমাধান। যদি খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।যেকোন খাবারই বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উপকারী ইসুবগুলের ও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর তা হল –

– কখনো কখনো এটি পাকস্থলীতে টান সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে ইসুবগুল খাওয়া বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
–  যদি অ্যালার্জি দেখা দেয় তাহলেও দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান
–  যদি আপনার এপেন্ডিসাইটিস ও স্টোমাক ব্লকেজের মত স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে ইসুবগুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ইসবগুল কেনার সময় দেখে নিন

ইসবগুল আমাদের দেশে বাজার থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট সব জায়গাতেই বেশ সহজলভ্য। তবে কেনার আগে কিছু ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন-

– প্যাকেটজাত ইসবগুল কিনুন
– কখনোই খোলা ইসবগুল কিনবেন না সেগুলো নষ্ট ও ভেজাল থাকতে পারে যার ফলে এটি খেয়ে হয়তো ভালো ফলাফল নাও পেতে পারেন।
– আজকাল প্যাকেটজাত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল পাওয়া যায়। তবে ভালো ফলাফল পেতে গেলে এসব কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল না খেয়ে সাধারণ ইসবগুল খান।
– বিভিন্ন দোকানে সাধারন ইসবগুলে কৃত্রিম স্বাদ ও রঙ যোগ করে বিশেষ কার্যকারিতার কথা বলে তা বিক্রয় করা হয় যা মূলত স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। তাই সাধারণ ইসবগুল খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।

ভেজালের ভিড়ে বিডি হেলথ ইসবগুল কিনুন এবং নিশ্চিত খেতে থাকুন।

শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
তথ্য সূত্রঃ ডি হেলথ সাইট

আমাদের মন্তব্যঃ

ইসবগুলের ভুষি প্রয়োজনীয় খাদ্যআঁশে পরিপূর্ণ যা শরীরে রক্তের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট, ডাইগক্সিন, বাইল অ্যাসিড সেকুয়েস্ট্র্যান্টস অথবা কারবেমাজেপাইন ঔষধের কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটায়। যারা এসব ঔষধ খাচ্ছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইসবগুল খাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুলের ভুষি

বিঃ দ্রঃ গুরুত্বপূর্ণ হেলথ নিউজ ,টিপস ,তথ্য এবং মজার মজার রেসিপি নিয়মিত আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে লাইক দিন আমাদের ফ্যান পেজ বিডি হেলথ নিউজ এ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − seven =